May 6, 2024
জাতীয়

পোলিং এজেন্ট হত্যা: দু’জনের স্বীকারোক্তি, তিনজন রিমান্ডে

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পোলিং এজেন্ট সুমন শিকদারকে (২৪) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আল আমিন খান ও ইমরান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

অন্যদিকে একই মামলায় গ্রেফতার রাসেল, শাকিল ও রাজীব নামে আরও তিনজনকে দুই দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।

এর আগে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রæয়ারি) রাতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় দুইজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড ও বাকি তিনজনের ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণ শেষে ১ ফেব্রæয়ারি দিনগত রাতে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার এলাকার রহিম ব্যাপারী ঘাটে নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণ হারান সুমন। তিনি ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন নির্বাচিত কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান-নূর-ইসলাম রাষ্টনের লালমাটিয়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট ছিলেন।

নিহত সুমনের বন্ধু সাজ্জাদ জানান, ঘটনার সময় সুমন, রুবেল, আল আমিন ও ইমরানসহ ৬ জন রহিম ব্যাপারী ঘাটে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। সে সময় হঠাৎ মুখশ পরা বেশ কয়েকজন লোক সেখানে গিয়ে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা শাহ আলম জীবনের লোক কে কে আছে বলে ধারালো অস্ত্র চালাতে থাকে। এতে আহত হলে সুমনকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। হামলার সময় মুখে মাস্ক পরা থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি বলে জানান সাজ্জাদ।

নিহত সুমন সিকদার বাবা আনোয়ার আহমেদ শিকদার ও মাতা ঝুমুর বেগমের সঙ্গে লালমাটিয়া এলাকায় থাকতেন। আনোয়ার আহমেদ পেশায় গাড়িচালক। তাদের গ্রামের বাড়ী লক্ষীপুর জেলার রামগাতীতে।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *