May 5, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

পারমাণবিক-তেজস্ক্রিয়তা দুর্যোগ মোকাবিলায় গাইডলাইন অনুমোদন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রেসহ পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি গাইডলাইন করেছে সরকার। এ জন্য ‘জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক জরুরি অবস্থায় প্রস্তুতি ও সাড়াদান পরিকল্পনা’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবনপ্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘রূপপুর পাওয়ার প্লান্টের সেফটি মেজারের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) রিকোয়ারমেন্ট আছে যে, এই ধরনের পাওয়ার প্লান্ট করার আগে সেফটি গাইডলাইন ও রেসপন্স প্ল্যান থাকতে হবে। না হলে তারা চালু করার সুযোগ দেবে না। সে জন্য আইএইএর গাইডাইন-স্ট্রাকচার অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের সকল দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য পরিকল্পনার সঙ্গে সংযুক্ত এবং সামঞ্জস্য রেখে ‘জাতীয় পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক জরুরি অবস্থায় প্রস্তুতি ও সাড়াদান পরিকল্পনা’ তৈরি করা হয়েছে।

এই পরিকল্পনার দুটি উল্লেখযোগ্য দিকের বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রস্তাবিত দলিলে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাবিষয়ক জরুরি অবস্থার ধরন, মানে কী ধরনের দুর্যোগ হতে পারে আমাদের আসলে সে আইডিয়া (ধারণা) নেই। এই গাইডলাইন আমাদের সেই আইডিয়া দেবে।’

‘ব্যবস্থাপনাটা কীভাবে করা হবে, রেসপন্স কীভাবে…আল্লাহ না করুক যদি কখনও কোথাও কোনো ডিজাস্টার (বিপর্যয়) হয়, পৃথিবীতে এ পর্যন্ত প্রায় আটটি (পারমাণবিক) ডিজাস্টার হয়েছে। চারটা আমেরিকায়, একটা সোভিয়েত ইউনিয়নে, গ্রেট ব্রিটেনে এবং জাপানে সুনামির সময়। এই এক্সপেরিয়েন্সকে (অভিজ্ঞতা) তারা কাউন্ট করেছে এবং আমাদের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কাঠামো দাঁড় করানো যে কখনও কিছু হলে কীভাবে ফেস (মোকাবিলা) করতে হবে। এ জন্য আর্মড ফোর্সসহ পর্যাপ্ত জনবল যারা আছে তাদের প্রস্তুতি এবং ট্রেইনআপ (প্রশিক্ষণ) করা হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘এটা মূলত বাংলাদেশে পারমাণবিক ও তেজস্ক্রিয়তাজনিত দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য যথাযথভাবে একটা ব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হবে। আল্লাহ না করুক, ডিজাস্টার হোক বা না হোক সেই ডিজাস্টারের জন্য আগে থেকে প্রস্তুতির জন্য একটা গাইডলাইন।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *