পাটকেলঘাটায় সাংবাদিক একরামুলের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন
পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাটকেলঘাটা-তালার বারাত মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত পাক্ষিক ‘নির্ভীক’ সংবাদের সম্পাদক একরামুল হক আসাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন্ শ্রেণী পেশার মানুষ মানববন্ধন করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় বারাত বিদ্যালয়ের সামনে পাটকেলঘাটার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের উপর এ মাবনবন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। পাটকেলঘাটার কুমিরা গ্রামের সন্ত্রাসী শেখ বোমা কুদ্দুস, মনোহরপুর গ্রামের শফিকুল ও মালেক গাজীর গ্রেফতারের দাবীতে বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে বারাত, মনোহরপুর, জগনান্দকাটি, বকশিয়া সহ ৪ গ্রামের গ্রামবাসী ও সাংবাদিকরা এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এসময় বক্তব্য রাখেন পাটকেলঘাটা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ মাসুদ রানা, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম রাজু, কুমার ইন্দ্রজিৎ সাধু ও মোশরেফুজ্জামন ইমন প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রিপোর্টার্স ক্লাব পাটকেলঘাটার সহ-সভাপতি ডাঃ হেলাল উদ্দীন,সাধারন সম্পাদক খান হামিদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শাহিনুর রহমান, আ’লীগে নেতা শহিদুল ইসলাম। বক্তরা অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবী করেন। বক্তরা বলেন স্কুলের মিটিং এ বারাত মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য বিশিষ্ট সাংবাদিক একরামুল হক আসাদ স্কুলের সদস্য কুমিরা গ্রামের শেখ মোজাম আলী ওরফে পাটো মোজাম আলীর নিকট প্রতিষ্ঠানের পাওনা দুই লক্ষ টাকা পরিশোধের জন্য তাগিত দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এঘটনার পর দূর্নীতিবাজ মোজাম আলী তার ছেলে রুহুল কুদ্দুস ও ভাতিজা রুবেলে নেতৃত্বে
তালার মির্জাপুর বাজারে প্রকাশ্যে জীবন নাশের হুমকি দিলে ৮ জুলাই তিনি পাটকেলঘাটা থানায় একটি জিডি করেন। যার নাম্বার ২৯৯। এঘটনার ৫ দিন পর ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় মির্জপুর বাজারে বসে থাকা অবস্থায় ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস ওরফে বোমা কুদ্দুসের নেতৃত্বে মনোহরপুর গ্রামের শফিকুল ও মালেক গাজী সাংবাদিক আ.আ.ম একরামুল হক আসাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনার পর ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী। মানবন্ধনে বক্তরা আরো বলেন কুমিরা গ্রামের ইউপি সদস্য রুহুল কুদ্দুস ও তার ভাতিজা রুবেল এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী যাকে সবাই বোমা কুদ্দুস ও বোমা রুবেল বলে জানে। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুমিরা ইউনিয়নের ভাগবাহ কেন্দ্রে বোমা হামলা চালিয়ে ভোটের ব্যালট কাটার অভিযোগ উঠে তাদের বিরুদ্ধে। ফলে ওই কেন্দ্রের ভোট কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। তাদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট। এ সব ঘটনায় তাদের গ্রেফতারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর এলাকাবাসী গনস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পাঠিয়েছেন।