May 19, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

পদ্মা পাড়ি দিতে কড়াকড়ি

দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুট। ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকা ত্যাগ করে পদ্মা পাড়ি দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের দিকে যাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সকাল থেকে মানুষের চাপ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করেছে এ রুটে।

এদিকে, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা একাধিক চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো যাত্রীকে ঘাটের দিকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

রোববার (১৭ মে) বেলা ১১টার পর পদ্মাপাড়ি দিতে কড়াকড়ি ব্যবস্থার কারণে ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের উপস্থিতি কমতে শুরু করেছে।

জানা যায়, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে বর্তমানে চারটি রো-রোসহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে।

শিমুলিয়া ঘাটের মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া ঘাটে এখন বর্তমানে অঘোষিত লকডাউন চলছে। এছাড়া এক্সপ্রেসওয়েতে বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়ে কড়াকড়ি করা হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিমুলিয়া ঘাটের দিকে কাউকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। ফেরিতে বেশি যাত্রী যাতে না উঠতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। ঘাট এলাকা থেকে অনেক যাত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায়।

শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহম্মেদ জানান, সকাল থেকে অন্যদিনের মতোই যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েছিল। কিন্তু এখন ঘাট এলাকায় গাড়ি নেই বললেই চলে। তবে যাত্রীদের চাপ থাকলেও অন্যদিনের তুলনায় কম। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি চলাচল করছে।

শিমুলিয়া ঘাটের মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, বেলা ১১টার পর থেকে ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় গাড়ি নেই বললেই চলে। অপেক্ষায় থাকছে না গাড়িগুলো, স্বাভাবিক সময়ের মধ্যেই গাড়িগুলো ফেরিতে উঠতে পারছে।

ঢাকা ও মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাছেদ জানান, অন্যদিনের তুলনায় এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ির চাপ নেই। গেল তিনদিন ধরে হাজারো গাড়ি শিমুলিয়া ঘাটের দিকে এসেছে। গাড়ি আসলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন স্থানে সাতটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, এসব সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ নজরদারি রাখছে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবিরুল ইসলাম খান জানান, কুচিয়ামোড়া, দোগাছি ও মাওয়া চৌরাস্তাসহ বেশকিছু এলাকায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা চেকপোস্ট বসিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেউ যদি বেড়াতে যান, তাহলে তাদেরও ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় থানা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি দল কাজ করছে। ফেরিতে যাত্রীদের ওঠার ব্যাপারেও নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য চেষ্টা চলছে। বর্তমানে ঘাটের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ উপজেলা প্রশাসনের কাছে সহায়তা চাওয়ার পর থেকেই নানান ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গেল কয়েকদিনের তুলনায় আজ গাড়ি ও যাত্রীদের উপস্থিতিও অনেক কম।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *