নড়াইলে সংখ্যালঘু নির্যাতন, দুইপা ভেঙে দিলেন সন্ত্রাসীরা
ড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কামারগ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় এক সংখ্যালঘু বিপুল কুমার পাল,(৬০) কে মেরে দুটো পা ভেঙ্গে দিলেন পাশের গ্রামে সরশুনা গ্রামের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কামারগ্রামে এঘটনা ঘটেছে।
আহত বিপুল কুমার পাল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ২০ দিন আগে আমার স্ত্রীর সাথে পাশের বাড়ির সুশান্ত কুমার পালের স্ত্রী ছবি রানী মধ্যে একটু ঝগড়াঝাটি হয় তখন ছবি রানী পাশের গ্রামে সরশুনা গ্রাম থেকে কিছু লোকজন নিয়ে এসে ওই ঝামেলা মিমাংসা করেন।
এরপর ২১মে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে বিপুল কুমার পাল তার পাট খেতে কাজ করা অবস্থায় কোন কিছু বুঝে উঠার আগে সরশুনা গ্রামের ওবায়দুর শেখ, আলাউদ্দিন শেখ,সজিব শেখ,অন্তত শেখ, ইমরুল শেখ,হাসান শেখ,কাদের শেখ সুরোজ সেখ সহ অজ্ঞাত আরো তিন চার জন কে দিয়ে ছবি রানীর নির্দেশে তার উপরে অতর্কিত হামলা চালায়।
এসময় অতর্কিত হামলায় বিপুল কুমার পালের দুটো পা ভেঙ্গে দেয় ওই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা।
বিপুল এর ভাতিজা সাংবাদিকদের বলেন আমরা সংখ্যালঘু মানুষ আমাদের নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল সেটাকে কেন্দ্র করে ওবায়দুর শেখ টাকার বিনিময়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হাতুড়ি,লোহার রড,লাঠি নিয়ে মেরে আমার চাচার পা ভেঙ্গে দিয়েছে, আমি পুলিশ সুপার মহোদয় সহ প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই,
বিপুলের পরিবারের লোক আহত অবস্থায় বিপুল কে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এরপরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুল কে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বর্তমান বিপুল নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এবিষয়ে ছবি রানীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমরা নিরীহ মানুষ আমাদের ছেলে সন্তান বাড়ি না থাকায় ওরা আমাদের মারধোর করে,ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে মারধরের ঘটনাটি তিনি অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ আবু হেনা মিলন এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।