April 20, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

নড়াইলের বনি মোল্লা হত্যা মামলায় খুলনায় ২৬ জনের যাবজ্জীবন

দ. প্রতিবেদক
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পরবিঞ্চু গ্রামের বনি মোল্লা হত্যা মামলায় ২৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছে- মফিজ বিশ্বাস, আলম শেখ, সালাম শেখ, শরিফুল খান, মামুন খান, আশিক শিকদার, সোহেল সিকদার, সবুজ শেখ, সবুজ মোল্লা, খালিদ মোল্লা, খোকন মোল্লা, কিবরিয়া মোল্লা, সাদী শেখ, আহাদুল শেখ, ইমদাদ শেখ, শরিফুল মোল্লা, বাপ্পি শেখ, সুফিয়ান খান, আশরাফুল খান, আনোয়ার মোল্লা, রঞ্জু মোল্লা, দুলাল খান, শিপলু খান, উজ্জল তালুকদার, আশিক মোল্লা ও আজাদ শেখ। খালাস পাওয়া চারজন হলেন- বাবু মোল্লা, রকিবুল মোল্লা, মিলন শেখ ও সেলিম মোল্লা।
আইনজীবীরা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ১১ মে সকালে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বনি মোল্লাকে হত্যা করেন। হত্যার দু’দিন পর বনির বাবা মো. হাসিম মোল্লা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন ২০২০ সালের ১৫ মার্চ ৩২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত দুই আসামি শিশু হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি নড়াইলের শিশু আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এ মামলায় ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১১ মে বনি বাড়ির পাশের একটি ঘেরে অবস্থান করছিলেন। সকাল আটটার দিকে তার পূর্ব পরিচিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড় দিয়ে প্রতিবেশী ছাকু কাজীর বাড়িতে আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ি থেকে তাকে বের করে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। খবর পেয়ে বনি মোল্লার পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার দুইদিন পর নিহত বনির বাবা বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের দাবি মামলার তদন্ত চলাকালে এ মামলায় আরও দু’জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ইকরাম হোসেন ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *