নেইমার নয়, মেসিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন এমবাপে
ক্রমেই নেইমারের ছায়া থেকে বের হয়ে আসছেন কিলিয়ান এমবাপে। তবে পিএসজিতে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকেই মেনে নিয়েছেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে। বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ফরোয়ার্ডের নজর আরও দূরে, ছাড়িয়ে যেতে চান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসিকে।
নেইমার চোটে পড়ার পর নিজেকে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নদের আক্রমণভাগের প্রাণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন এমবাপে। ২০১৭ সালে মোনাকো থেকে পিএসজিতে পাড়ি দেওয়া এই তারকা গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলে করেছেন ৩৯ গোল। চলতি মৌসুমে গোল করেছেন ১৮টি।
বারবার চোটে পড়ার পরও খারাপ করেননি নেইমার। এমবাপে এখনও ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকেই দেখেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে।
“আমি যখন প্যারিসে আসি, তখন কোনো সন্দেহ ছাড়াই নেইমার ছিলেন দলের সবচেয়ে বড় তারকা, যাকে আমি কিছুটা সাহায্য করতে এসেছিলাম।”
ফ্রেঞ্চ ফুটবলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে গত বিশ্বকাপের সময়কার কথাও তুলে ধরেন ২১ বছর বয়সী। যে টুর্নামেন্টের পর থেকে শুরু হয় দুজনের তুলনা।
“তিনি চোটে পড়লেন, (ব্রাজিল) বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল এবং আমি এটা জিতলাম। এরপর থেকে আমাদের কথিত প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে গল্প শুরু হলো। যেখানে বলা হলো, আমি তার জায়গা নিতে চাই।”
“এসব শুনলে আমার খারাপ লাগে। ২০১৮ সালের অগাস্টে আমি যখন ফিরলাম (ক্লাবে); প্রথমে যেটা করেছিলাম তা হলো, নেইমারকে ধরলাম ও বললাম, ‘ভেব না, আমি এখানে তোমার সাজানো বাগান মাড়িয়ে যাব না। আমি নিশ্চিত করছি, আমি তোমার জায়গা নিতে চাই না, এটা তুমিই রাখতে পার। আমি সবসময় এখানে আছি তোমাকে সাহায্য করতে।”
ক্লাব সতীর্থকে নিয়ে না ভেবে বরং মনে মনে এমবাপে ছক কষছেন কিভাবে রেকর্ড ছয় বারের বর্ষসেরা মেসিকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়।
“আমি মাথা নিচু রেখে শান্তভাবে মৌসুম শেষের অপেক্ষা করি। আমি নিজেকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।”
“এরপর একসময় উপলব্ধি করলাম, আমি ইউরোপের সেরা গোলদাতা হওয়ার চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু প্রতিপক্ষ যে মেসি। আমি দুই গোল করলে তিনি করেন তিনটি; আমি তিনটি করলে উনি চারটি।”
“এটা পাগলামী যে এ নিয়ে আমি উসমানের (দেম্বেলে) সাথে কথাও বলেছিলাম। ‘এটা সম্ভব নয়, তিনি কোনো লক্ষ্য নিয়ে এটা করেন? তিনি কি খেয়াল করেন আমি কয়টা গোল করি?’ ‘অবশ্যই তিনি তোমাকে দেখছেন!’
“আমি নিজেকে বলি, হ্যাঁ, মেসি আমাকে দেখছেন। এটা তৃপ্তিদায়ক যে, তার মতো একজন খেলোয়াড় আমকে অবজ্ঞা করেন না।”