May 19, 2024
জাতীয়

নিজের ও স্বামীর নামে ত্রাণের চাল উঠালেন ইউপি সদস্য!

করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে খেটে-খাওয়া, অসহায়, দরিদ্র, কর্মহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ১০ কেজি করে ত্রাণের চাল নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য রুলি খাতুনের বিরুদ্ধে। তিনি নিজের ও স্বামী কুতুবুল আলমের নামে মোট ২০ কেজি চাল উত্তোলন করেছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ।

রুলি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য।

এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার (০৭ মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন, গত বুধবার ওই ইউনিয়নের দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। চালপ্রাপ্তদের তালিকায় ইউপি সদস্য রুলি খাতুন ও তার স্বামী কুতুবুল আলমের নাম রয়েছে। এর আগেও প্রকৃত উপকারভোগীদের বঞ্চিত করে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের নামে সরকারি সহায়তা প্রদানের অভিযোগ রয়েছে রুলির বিরুদ্ধে।

অভিযোগপত্রে সাইফুল ইসলাম বলেন, এলাকার জনগণ বিষয়টি নিয়ে খুবই ক্ষিপ্ত। সুষ্ঠু তদন্ত করে এর বিরুদ্ধে  প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

রহনপুর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান বাইরুল ইসলাম বলেন, ‘পুরো ইউনিয়নের তালিকা তৈরিতে সব ইউপি সদস্যের সহযোগিতা নেওয়া হয় এবং সবাইকেই আনুপাতিক হারে উপকারভোগীদের সংখ্যা ভাগ করে দেওয়া হয়। ইউপি সদস্য রুলি নিজেরই নাম দিয়েছেন, এটি আমি জানতাম না। তবে চাল বিতরণের পর আমিও তালিকায় রুলি বেগম ও তার স্বামীর নাম দেখে তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তালিকায় নিজেদের নাম দেওয়ার ব্যাখ্যায় তিনি জানিয়েছেন, চৌকিদার ও একজন দুঃস্থ নারীকে দিতেই তিনি নিজের ও স্বামীর নাম দিয়েছেন। চাল বিতরণের আগে আমার চোখে এটি পড়লে তা সংশোধন করতাম।’

রহনপুর ইউপির ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের ট্যাগ অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আমিতো সবাইকে চিনি না,সে সময় উপস্থিত কেউ আমাকে অবহিত করেননি। তবে বিষয়টি জানার পরেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

তালিকায় নিজের ও স্বামীর নাম রয়েছে স্বীকার করে ইউপি সদস্য রুলি বেগম বলেন, ‘তালিকা তৈরির পরেও অনেক অসহায় মানুষ সহায়তা থেকে বাদ পড়ে যান। তাই নিজেদের নাম দিয়ে রেখেছিলাম, যেন পরে কেউ আসলে তাকে চাল দিতে পারি। চালগুলো নিজেও উত্তোলন করিনি। ইউনিয়ন পরিষদের একজন গ্রামপুলিশ ও এক অসহায় নারীকে চালগুলো দিয়েছি ও তারাই উঠিয়েছেন।’

এ বিষয়ে ইউপি সচিব সজীব সাহা ও গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানতে কার্যালয়ে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *