April 18, 2024
করোনাবিনোদন জগৎ

না ফেরার দেশে সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ

করোনার কাছে হার মেনে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ফরিদ আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

ফরিদ আহমেদের ছোট মেয়ে লিয়ানা ফরিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘সকালে চিকিৎসকরা বাবাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। বাবা লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। ’

গত ২০ মার্চ ফরিদ আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ২১ ও ২৩ মার্চ তিনি টেস্ট করালে তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না ঘটলে তিনি পুনরায় ২৫ মার্চ টেস্ট করান এবং তখন তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এরপর ওইদিন রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীত পরিচালক। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে স্থানান্তর করা হয়। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় ১১ এপ্রিল ফরিদ আহমেদকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের চেষ্টাকে ব্যর্থ করে তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

ফিরোজ সাঁইয়ের হাত ধরে পেশাদার সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু হয় অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার ফরিদ আহমেদের। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, সুবীর নন্দী, এন্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎসহ অনেক গুণী শিল্পীর জন্য গান তৈরি করেছেন তিনি।

ফরিদ আহমেদ আড়াই হাজারের বেশি নাটক, চার শতাধিক ধারাবাহিক এবং জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’সহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি ও টিভি অনুষ্ঠানের থিম সং তৈরি করেছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০টি সিনেমায় কাজ করেছি তিনি।

২০১৭ সালের সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘তুমি রবে নীরবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *