May 17, 2024
করোনাজাতীয়লেটেস্ট

নাসিমের করোনা নেগেটিভ, বিদেশ নিতে চেষ্টা চলছে

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতা এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) নেগেটিভ এসেছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এ পর্যায়ে তাকে দেশের বাইরে নেওয়ার একটা চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (০৯ জুন) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বাংলানিউজকে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের কোভিড-১৯ টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। তার আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে দেশের বাইরে নিতে যোগাযোগ করছে।

এদিকে, মোহাম্মদ নাসিমের মেডিক্যাল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মঙ্গলবার দুপুরে বাংলানিউজকে বলেন, উনার এখন কোভিড-১৯ বড় সমস্যা না। বড় বিষয় যেটা, সেটা হলো ব্রেন স্ট্রোক। করোনা থেকে মোহাম্মদ নাসিম আরোগ্য লাভ করছিলেন। উনাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মুহূর্তে ব্রেন স্ট্রোক করেন। এখনও উনার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম গত ৫ জুন ভোরে ব্রেন স্ট্রোক করেন। পরে ওইদিনই জরুরিভাবে তার অপারেশন করা হয়।

অপারেশনের পর চিকিৎসকরা তাকে ৪৮ ঘণ্টার নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখছিলেন। পরে শনিবার (০৬ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। রোর্ড সভা করে তার শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে। চিকিৎসকদের বোর্ড তাকে সময় বাড়িয়ে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নেন।

সোমবার (০৮ জুন) দুপুরে মোহাম্মদ নাসিমের নিবিড় পর্যবেক্ষণের ৭২ ঘণ্টা শেষ হয়। তবে তার অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণেই রাখা হয়েছে। সোমবার তার দ্বিতীয় বার করোনা টেস্ট করা হয়। মঙ্গলবার রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসে।

এদিকে, তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড সোমবার পুনর্গঠন করা হয়। এই বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, নিউরোলজিস্ট কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, নিউরোলজিস্ট বদরুল আলম, নিউরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নারায়ন চন্দ্র কুণ্ডু, নিউরোসার্জন রাজিউল হক, কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. মামুন মোস্তাফি এবং ওই হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ডা. মোমেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *