নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নাটোর সদর উপজেলার বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ একটি বাঁশঝাড় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে; যাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার নবীনকৃষ্নপুর গ্রাম থেকে রোববার রাতে কামরুল ইসলাম ওরফে জাহিদের (২৪) লাশ তারা উদ্ধার করেন।
নিহত কামরুল ওই গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে এবং নাটোরের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি’ বিবিএ শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতের বাবা বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে কামরুল তার মোবাইলে ফোন পেয়ে বাড়ির বাইরে যায়। পরে রাতে বাড়ি ফিরে না এলে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। দুপুর পর্যন্ত কামরুলের কোনো সন্ধান না পেয়ে ঘটনাটি সদর থানায় জানানো হয়।
সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েকজন বাঁশঝাড়ের মধ্যে কামরুলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান আফাজ।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী এক কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ কারণে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
নিহতের দুলাভাই আবুল কালাম বলেন, মৃত দেহের মাথায় ও ঘাড়ে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বাম চোখ উপড়ানো ছিল।
পরিদর্শক ফরিদুল বলেন, নিহতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কলেজ ছাত্রী, তার দুলাভাই ও কামরুলের বন্ধু রাকিব, আমীর হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও রানাকে রোববার রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কামরুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোনটিও পাওয়া যাচ্ছে না। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।