না’গঞ্জ সদরের ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
প্রায় ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধারের মামলার আসামিদের জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি কামরুল ইসলামের নাম উঠে আসায় তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। পুলিশ মহাপরিদর্শক ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে ওই মামলার তদন্ত শেষ করে তদন্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতের তলবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদ সোমবার হাই কোর্টে হাজির হলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এএসআই আলম সরোয়ার্দী রুবেলকে গত বছর ৭ মার্চ ৪৯ হাজার ইয়াবাসহ আটক করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
ওই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হওয়ার পর পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানসহ কয়েক জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওসি কামরুল ইসলামের নাম উঠে আসে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। গ্রেপ্তার আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওসির নাম আসার পরও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
আটক পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানের জামিন শুনানির সময় গত ২৪ ফেব্র“য়ারি বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আসে। ওসিকে কেন এ মামলায় আসামি করা হয়নি এবং কেন তদন্ত শেষ হয়নি, সেই ব্যাখ্যা জানতে তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির মহেদী মাকসুদকে তলব করে হাই কোর্ট।
সে অনুযায়ী গত ২৬ ফেব্র“য়ারি মেহেদী মাকসুদ আদালতে হাজির হয়ে বলেন, এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদকে। হাই কোর্ট তখন আজাদকে ৪ মার্চ হাজির হতে নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন আজাদ আদালতে হাজির হন।
আদালত শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে এক মাসের মধ্যে মামলাটির তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেয় এবং ওসি কামরুল ইসলামকে সদর থানা থেকে প্রত্যাহারের আদেশ দেয়। পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামানকে জামিন না দিয়ে তার আবেদনটিও নিষ্পত্তি করে দেয় হাই কোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। আসাদুজ্জামানের ছিলেন সুরজিৎ ভট্টাচার্য্য।