নব্য জেএমবি’র নারী শাখার প্রধান গ্রেফতার, ৩ দিনের রিমান্ডে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (নব্য জেএমবি) নারী শাখার প্রধানকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ (সিটিটিসি)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তর কমলাপুর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি’র একটি দল। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার শাখার প্রধানের নাম আসমানী খাতুন ওরফে আসমা ওরফে আমাতুল্লাহ ওরফে বন্দী জীবন ওরফে নিখোঁজ আলো (২৮)।
সিটিটিসি’র উপ-কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আসমানীকে সন্ধান করছিলাম। সে একেক সময় একেক নাম ব্যবহার করতো। গ্রেফতার করার সময় তার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত দুটি মোবাইল ফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আশা করছি তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এছাড়াও তার সঙ্গে থাকা আরও ৪-৫ জনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
সিটিটিসির সহকারী কমিশনার শেখ ইমরান হোসেন জানান, রাজবাড়ীর সদর থানার খান খানাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে আসমানী খাতুনের বাড়ি। তার কাছ থেকে দুইটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বন্দী জীবন’ ও ‘নিখোঁজ আলো’ নাম নিয়ে সক্রিয় ছিলেন আসমানী।
শেখ ইমরান হোসেন আরও জানান, নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনলাইনে নারী সদস্য সংগ্রহ করছিলেন। তিনি বিভিন্ন জনকে কথিত হিজরতে পাঠিয়েছিলেন, যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন। অনলাইনে তার সঙ্গে নব্য জেএমবির অন্যতম নেতা ইসলাম আল হিন্দী, আবু দুজানা ও আবু মোহাম্মদদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।
তিনি আরও বলেন, উত্তর কমলাপুর এলাকায় নব্য জেএমবির চার-পাঁচ জন সহযোগীর সঙ্গে আসমানী একত্রিত হয়েছিলেন। ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসমানী এই অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জন নব্য জেএমবির সহযোগীদের সঙ্গে ওই স্থানে একত্রিত হয়েছিল। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আসমানীকে গ্রেফতারের ঘটনায় মতিঝিল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।