নতুন বছরে ভাল থাকার জন্য যে কাজগুলো জরুরি
নিজেকে সুস্থ রাখতে যেসব উপায় মেনে চলা হয়, তার ভেতরে প্রথমেই রয়েছে ওজন কমানো আর সঠিক ডায়েটের নাম। কিন্তু এর বাইরেও আরও অনেক কাজ আছে, যা সুস্থ থাকতে হলে মেনে চলতে হবে। প্রতিটি নতুন বছরের শুরুতেই আমরা অনেকরকম পরিকল্পনা করে থাকি বা সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। কিন্তু ধীরে ধীরে সেসব ভুলে আবারও ভুল করে বসি। কিন্তু একটু হলেও যদি সেই উপায়গুলো আমরা মেনে চলি, তবে সারা বছর সুস্থ থাকা সম্ভব-
ডায়েট: কোন খাবারগুলো আপনার জন্য ভালো আর কোনগুলো নয়, তা জেনে নিজেই ঠিক করুন কী খাবেন আর কী খাবেন না। সেগুলোকে আপনার ডায়েট চার্টে জায়গা দিন। নিজে ডায়েট ঠিক করতে না পারলে পরামর্শ নিন কোনো চিকিৎসকের। যদি আপনি ওজন কমাতে চান তবে, আপনার ডায়েট থেকে বাদ দিন কিছু উচ্চ ক্যালোরি এবং ফ্যাটযুক্ত খাবার। আবার যদি আপনি ওজন কমানোর ডায়েটে থাকতে না চান তবে আপনার স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
পানি: প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করুন, এটি হজমশক্তি বাড়ায়। আবার, অতিরিক্ত পানি পান বিপদও আনতে পারে। তাই নতুন বছরে অবশ্যই শপথ নিন সুস্থ শরীরের জন্য সঠিক ও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করার। শরীরের ওজন অনুযায়ী নির্ভর করে একজন মানুষের কত পরিমাণ পানি প্রয়োজন। তাই, পরামর্শ নিন কোনো বিশেষজ্ঞের।
শরীরচর্চা: প্রতিদিন সকালে আর সন্ধ্যায় আপনি যেকোনো ধরনের ব্যায়াম চেষ্টা করতে পারেন। যদি সময় না পান তবে, প্রতিদিন সকালে অন্তত পাঁচ মিনিট হাঁটাচলা, সিঁড়ি বেয়ে ওঠা এবং দৌড়াতে চেষ্টা করুন। এগুলো হলো সাধারণ বায়বীয় অনুশীলন, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং আপনাকে ফিট ও স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
ঘুম: গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করা, পার্টিতে থাকা, সিনেমা দেখা, মোবাইল ঘাঁটা বন্ধ করুন। শরীরকে দিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিশ্রাম। যখন আমরা ঘুমাই তখন আমাদের শরীরের অঙ্গগুলো কাজ করার শক্তি ফিরে পায়। অল্প ঘুম হলে বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি, ওজন, স্ট্রেস, শরীরের ব্যথা, বদহজম এবং নিদ্রাহীনতার মতো ভয়াবহ রোগ
ধুমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন: নতুন বছরে সুস্থ থাকতে ছাড়তে হবে ধূমপান এবং মদ্যপান। একটানা কাজের মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিন একটানা বসে থাকা বা একটানা কাজ করে যাওয়া ধূমপান এবং মদ্যপানের মতোই ক্ষতিকর। সুতরাং, কাজ করার মাঝে বিশ্রাম অত্যন্ত প্রয়োজন এবং টানা এক জায়গায় বসে না থেকে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট পরপর উঠে দাঁড়ান বা হেঁটে আসুন।
মনের চাওয়া শুনুন: নিজের মনকে গুরুত্ব দিলে মানুষ নিজের আবেগ, অনুভূতি ও ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে নিবিড়ভাবে চিনতে পারে। এই অনুভূতিকে চেনার মধ্য দিয়েই মানুষ তার নিজের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পারে এবং দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে নিজের মনের কথা শুনুন।