April 19, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

নগরীতে ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ সাংবাদিক এম এ জলিল গ্রেফতার

 প্রেস ক্লাব ও কেসিআরএ’র নিন্দা

দ: প্রতিবেদক

খুলনায় ১০ বোতল ফেন্সিডিলসহ এম এ জলিল (৫২) নামের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। গতকাল রবিবার সকাল ৮টায় নগরীর মুসলমানপাড়া নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ও বর্তমান দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-০৭, তারিখঃ ০৭/০৭/২০১৯ ইং।

এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক পারভীন আকতার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তার স্ত্রীর কাছে সাংবাদিক জলিলকে কোথায় জানতে চাইলে বাড়িতে নেই বলে তিনি জানান। পরে আমার পরিচয় পাওয়ার পর তারা বাসার পিছন দিক থেকে কিছু ফেলে দেন এবং দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় সাংবাদিক জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। বাড়ির পিছনের একটি ড্রেন থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।

এম এ জলিলের স্ত্রী রুনা বেগম জানান, কিছুদিন আগে আব্দুল জলিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সোর্সের বিরুদ্ধে নিয়ে নিউজ করায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, আমি পারিবারিক কাজে ঢাকায় আছি। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি- সাংবাদিক জলিলের বাসার পিছন দিকের ড্রেন থেকে ১০ বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয় এবং এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।

খুলনা প্রেস ক্লাব : খুলানা প্রেসক্লাবের সহকারী সম্পাদক ও দৈনিক খুলনাঞ্চল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার এম এ জলিলকে খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা আটক করে তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মাদক মামলা দায়ের এবং তার স্ত্রী রেনু বেগমের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাহেব আলীসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ। অবিলম্বে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়েরকৃত এ মামলা প্রত্যাহারের জন্য নেতৃবৃন্দ জোর দাবি জানান। অন্যথায় খুলনার সাংবাদিক সমাজ কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন : খুলনা ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (কেসিআরএ) কোষাধ্যক্ষ এমএ জলিলকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে হয়রানিমুলক মামলায় জড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সভাপতি সুবীর রায় ও সাধারণ সম্পাদক সোহাগ দেওয়ানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ও অসাধু সোর্সদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরধরে তাকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে মাদক মামলায় জাড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক এমএ জলিলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমুলক মামলা অবিলম্বে নিঃশর্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচিসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সকল সংবাদ বয়কট করা হবে।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *