May 17, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

নগরীতে স্কুল শিক্ষক তয়ন হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদন্ড

দ. প্রতিবেদক

খুলনায় চাঞ্চল্যকর কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন (৩২) হত্যা মামলায় পাঁচ আসামীকে মৃত্যুদÐ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামীকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অপর দুই আসামীকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার খুলনার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় দেন।

মৃত্যুদÐপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন কাজী মুরাদ, কাজী ফরহাদ হোসেন, মো. জাকির, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো ও সাইফুল। জাকির পলাতক রয়েছেন। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম ও কাজী মাসুম।

গত ২৬ ফেব্রæয়ারি একই ট্রাইব্যুনালে যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এ হত্যা মামলার পাঁচজন আসামী জামিনে ছিলেন। ২৬ ফেব্রæয়ারি আদালতে হাজির হলে তাদের সি-ডবিøউ মূলে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

নিহত (ভিকটিম) তয়ন খালিশপুর থানার মুজগুন্নী মেইন রোডস্থ কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতার ছেলে। ৩২ বছর বয়সী এ স্কুল শিক্ষককে ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট রাতে একটি সংঘবদ্ধ চক্র হত্যা করে ডোবার মধ্যে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখে। পরে মোবাইল ট্রাকিং করে একজন আসামীকে গ্রেফতারের পর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। চলতি বছরেই মামলাটি চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক মামলা হিসেবে চিহ্নিত করে দ্রæত বিচারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি খুলনার বিভাগীয় দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলী ছিলেন বিরেন্দ্র নাথ সাহা।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কাজী তাসফিন হোসেন তয়ন ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকেলে নিখোঁজ হলে তার বাবা কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা ওই বছর ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার পর খালিশপুর থানা পুলিশ মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহজনক আসামী সাইফুল ইসলাম গাজীকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল স্বীকার করেন যে, তিনিসহ তার সহযোগিরা ২৮ আগস্ট রাত ৯ থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তয়নকে হত্যা করে মরদেহ বয়রা পুলিশ লাইনের পশ্চিম পাশের মোস্তফা কামালের ডোবা জমির উত্তর পাশের কচুরিপানা ও হোগলা বনের মধ্যে চাপা দিয়ে রেখেছেন। সাইফুলের দেখানো মতে ওই ডোবা থেকে পিলার ও বাঁশের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় তয়নের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে আসামী সাইফুল ও অপর সহযোগী আসামী কাজী মুরাদ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা জানান, তারা দু’জনসহ আরও কয়েকজনে মিলে তয়নকে হত্যা করেন। জবানবন্দিতে কাজী ফরহাদ হোসেন, কাজী সাব্বির হোসেন ফাহিম, কাজী রওনাকুল ইসলাম রনো, কাজী মাসুম ও মো. জাকিরের নাম উল্লেখ করা হয়। পুলিশ পরে মো. জাকির ছাড়া বাকী আসামীদের গ্রেফতার করেন।

এ ঘটনায় তয়নের বাবা বাদী হয়ে ২০১৮ সালে ৮ সেপ্টেম্বর খালিশপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান সাতজনকে অভিযুক্ত করে একই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে উল্লেখিত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনই আদালতে তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *