নগরীতে ব্যবসায়ী মঈন হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন, খালাস ৩
দ. প্রতিবেদক
খুলনায় ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে গুলি করে ও বোমা মেরে মঈনুল হক ওরফে মঈন (২৮) হত্যা মামলায় ২ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং বাকি তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোঃ জিয়া হায়দার এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁনমারী এপ্রোচ রোড ৩য় গলি এলাকার মোঃ সামসুল হকের পুত্র দীন মোহাম্মদ টুটুল (৪২) ও একই গলি এলাকার আব্দুল খালেকের পুত্র মোঃ হানিফ ওরফে হানু (৪২)। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হানিফ ওরফে হানু আদালতে উপস্থিত ছিলেন অপর আসামি টুটুল পলাতক ছিলেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- চাঁনমারী এপ্রোচ রোড ৩য় গলি এলাকার মোঃ সামসুল হকের পুত্র মোঃ নুরুল ইসলাম ওরফে লিটন, মতিয়াখালি ৫ম গলি এলাকার ইনছান উদ্দিনের পুত্র মোঃ ফারুক হোসেন ওরফে কালা ফারুক এবং একই গলির আব্দুল সালাম মোল্লার পুত্র মোঃ কামাল হোসেন।
জানা গেছে, ২০০১ সালের ২৯ ডিসেম্বর বেলা ৩টায় খুলনার শিপইয়ার্ড মতিয়াখালি ৩য় গলি এলাকায় মোঃ লুৎফে আলমের পুত্র মঈনুল হক ওরফে মঈন বাসা থেকে বের হন। এরপর রাত সাড়ে ৮টায় মতিয়াখালি খালপাড় রোডস্থ ২য় বাঁধের কাছে বোমা ফাটিয়ে ও গুলি করে মঈনের ওপর হামলা চালানো হয়। মঈনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন নিহতের ভাই মোঃ নাইমুল হক ওরফে নাইম খুলনা সদর থানায় অজ্ঞাতনামা করে হত্যা মামলা দায়ের করেন যার নং ৩১। ২০০২ সালের ৮ জুলাই এস আই একেএম ফজলুল হক আদালতে ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে চার্জশিটভুক্ত আসামি চাঁনমারি এপ্রোচ রোড ৩য় গলির আঃ খালেকের পুত্র বিল্লাল হোসেন ওরফে কিলার বিল্লাল এবং তার ভাই আসামি মোঃ শাহিন মারা যায়। আদালতের বিভিন্ন কার্যদিবসে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক এরায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাড. মাহমুদা ফারজানা সেতু।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ