নগরীতে বৃদ্ধা শহর বানু হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল
দ. প্রতিবেদক
নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ কয়লাঘাট পার্ক লেন এলাকায় জমিজমা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘরে প্রবেশ করে বৃদ্ধা শহর বানুর (৬৮) কে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মল্লিক মনিরুজ্জামান। বুধবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট গৃহিত হয়েছে।
চার্জশিটভুক্ত আসামীরা হলেন নগরীর ১০, সাউথ সেন্ট্রাল রোডস্থ কয়লাঘাট পার্ক লেনের মৃত বজলুর রহমানের ৪ ছেলে একেএম মিজানুর রহমান ওরফে মিজান (৪২), একেএম মাহাফুজুর রহমান ওরফে মিঠু (৩৬), মো. আরিফুর রহমান ওরফে মন্টি (৩২) ও মো. নাজিউর রহমান নয়ন (২২)।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমাজমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালের ৯ মে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বৃদ্ধা শহর বানুর (৬৮) বাড়িতে হামলা চালায় আসামীরা। এসময় পুরুষরা কেউ বাড়িতে না থাকায় সন্ত্রাসীরা লাঠিসোটা, লোহার রড, দা ইত্যাদি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে বৃদ্ধা শহর বানুর উপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। সন্ত্রাসীরা শহর বানুকে মারধরসহ টেনে হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার চুল ধরে দেওয়ালের সাথে মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত শহর বানুকে প্রথমে নার্গিস মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয় হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পরের দিন আহত শহরবানুর ছেলে মাহবুবুর রহমান টুটুল বাদী হয়ে খুলনা থানায় ঘরে প্রবেশ করে ক্ষতিসাধন, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও ভয়ভীতি প্রদান করার অপরাধে মামলা দায়ের করেন যার নং-৫। মামলায় মিজান, মিঠু, মন্টি ও নয়নকে আসামী করা হয়। ১১ মে সকাল ১০টার দিকে আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহর বানুর মৃত্যু হয়। পরে আদালতের নির্দেশে হত্যা মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা থানার এসআই মল্লিক মনিরুজ্জামান ওই মামলায় পেনাল কোড ৩০২/৩৪ ধারা সংযোজনের জন্য ১২ মে মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে পরবর্তীতে সংযোজনের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ