December 25, 2024
জাতীয়

ধর্ষণের আলামত নষ্টের অভিযোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বাগেরহাটের রামপালে এগারো বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আলামত নষ্ট করার অভিযোগে ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল জানান, শুক্রবার রাতে রামপাল উপজেলার শরাফপুর থেকে অধ্যক্ষ ওলিয়ার রহমানকে (৫২) গ্রেপ্তার করা হয়।

এনিয়ে এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে ওইদিন দুপুরে ফেরদৌস শেখ (১৮) নামে এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। গত ১১ এপ্রিল রাতে মুদি দোকানি ফেরদৌস ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে (১১) ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।

ওই অভিযোগে শুক্রবার শিশুটির এক মামা বাদী হয়ে ওলিয়ার রহমান ও ফেরদৌস শেখসহ চারজনের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা করেন। ওইদিন দুপুরে পুলিশ ফেরদৌস শেখকে এবং রাতে ওলিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

ফেরদৌস শেখ রামপাল উপজেলার শরাফপুর গ্রামের লুৎফর শেখের ছেলে। ওলিয়ার রহমান স্থানীয় শরাফপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজ আফজাল বলেন, মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় তার মামা বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা প্রথমে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে মুদি দোকানি ফেরদৌসকে গ্রেপ্তার করি। ধর্ষণের তথ্য গোপণ ও আলামত নষ্ট করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়ে ওলিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করি। অন্য দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে। অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে বাগেরহাটের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আবেদন করা হবে।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মশিউর রহমান বলেন, আমরা মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। মেয়েটির বয়স নির্ধারণ এবং ধর্ষণের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফকিরহাটে নানার বাড়ি থেকে রামপাল উপজেলার একটি মাদ্রাসার ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়ালেখা করছিল শিশুটি। মাদ্রাসার সামনে রয়েছে ফেরদৌসের মুদি দোকান। গত ১১ এপ্রিল রাতে ফেরদৌস কৌশলে মেয়েটিকে একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *