April 25, 2024
জাতীয়

গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

 

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠার পর গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তার শাস্তি হচ্ছে, তিনি আর কখনও চেয়ারম্যান হতে পারবেন না এবং ২০২২ সাল পর্যন্ত মোট ৮ সেমিস্টারে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক অধ্যাপক ড. নূর উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সিএসই বিভাগের শেষ বর্ষের দুই ছাত্রী দেড় মাস আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। গত ৭ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে উপাচার্য ড. নাসির উদ্দিন ওই শিক্ষককে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করেন।

পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. আব্দুর রহিম খানকে সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক ড. মো. বশির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

ওই শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ডের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

শৃংখলা বোর্ডের চেয়ারম্যান উপাজার্য নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন গোপনীয় একটি বিষয়।

ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে কি না- এ প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিবেচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ওপর নির্ভর করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আক্কাস আলী একাডেমিক ও প্রশাসনিক কোনো দায়িত্ব না থাকলেও শিক্ষক হিসেবে পুরো বেতন ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *