দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে নুসরাত হত্যার বিচার চান নাসিম
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।
নাসিম বলেন, ফেনীর ওই ছাত্রীকে কে হত্যা করেছে, এর সঙ্গে কারা জড়িত তা সবাই জানে। আমি আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করে অভিযুক্তদের ফাঁসি দিতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আয়োজিত অভিভাবক সমাবেশে একথা বলেন তিনি। রাজধানীর আজিমপুর কমিউনিটি স্টোরে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের ব্যবস্থা করেন। তা না হলে সমাজের এই অবক্ষয় দূর হবে না। অনতিবিলম্বে এটা করতে হবে। এই হত্যাকারীরা, অপরাধীরা কোনোভাবেই পার পেতে পারে না।
‘দুনিয়ার কোনো সরকার এককভাবে আর্থ-সামাজিক মুক্তি দিতে পারে না যদি না দেশের জনগণ সহযোগিতা করে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তারপরও সামাজিক অবক্ষয় দূর হয়নি, সামাজিক অবক্ষয় বেড়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। মাদক নির্মূলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। তবেই এই সামাজিক অবক্ষয় দূর হবে।’
সমাবেশে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ফেনীর ছাত্রী রাফি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে হানিফ বলেন, যিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স দেন, রোড পারমিট দেন, সড়ক দুর্ঘটনার জন্য তারাও দায়ী। যে চালককে লাইসেন্স দেওয়া হয় তাদের অধিকাংশই অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত। কোনো আইন জানে না, ন্যূনতম জ্ঞান নেই। তাদের লাইসেন্স দেওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়। প্রত্যেক দুর্ঘটনার পর যানবাহনের মালিককেও আসামি করে মামলা দিতে হবে। তাহলে মালিকরা আর অদক্ষ চালককে নিয়োগ দেবে না।
‘অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের সন্তানরা কি করে, কোথায় যায়। এখন ফেসবুক একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছেলেমেয়েরা সার্বক্ষণিক ফেসবুকে থাকছে। এই ফেসবুকের কারণে দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা হচ্ছে, বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটছে। গত ২০১৭ সালে ৯০ শতাংশ বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ফেসবুকের কারণে। অভিভাবকদের এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। অভিভাবকরা সচেতন হলে সন্তানেরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলের সজিব ওয়াজেদ জয়ের মতো হবে যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখছেন।’
আর অভিভাবকেরা সচেতন না হলে সন্তানেরা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের মতো হবে যিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর ১৪ দলের সমন্বয়ক শাহে আলম মুরাদের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনুদ্দিন খান বাদল, সাম্যবাদীদলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতসহ অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা।