দ্বিতীয় দিনে আয় কমেছে মেট্রোরেলের
নাগরিকদের অভ্যস্ত করতে দুদিন আগে থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে মেট্রোরেল। উদ্বোধনের দিনে প্রধানমন্ত্রীসহ অতিথিদের নিয়ে ছুটলেও বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করার পর দেখা গেছে প্রথমদিনের তুলনায় আয় কমেছে।
মেট্রোরেল সূত্রে জানা গেছে, প্রথমদিনে সব মিলিয়ে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৫২০ টাকার টিকিট বিক্রি হলেও শুক্রবার মাত্র ১ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮০ টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছে। যদিও দুই দিনই ট্রিপ সংখ্যা ছিল ৫০টি।
আয় কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ মনে করছে , প্রধান কারণ টিকিট বিক্রি মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়া। দুই প্রান্তেরই মেশিন দুইদিন বন্ধ ছিলো। ফলে ভোগান্তিও হয়েছে। যাত্রীদের কাউন্টার থেকে টিকিট কাটতে হয়েছে।
এছাড়াও অনেকে টিকিট বিক্রয় মেশিনে ৫০০ ও এক হাজার টাকার নোট দিয়েছেন, ফলে মেশিন আর টাকা ফেরত দেয়নি। অনেকে ছেড়া-ফাঁটা ও পুরাতন নোট দিয়েছেন, এতে করে মেশিন রিড আউট করতে পারেনি। এসব কারণে অনেক কোচ ফাঁকা গেছে, ফলে আয়ও কম হয়েছে।
কী কারণে আয় কমলো এটা নিয়ে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কাজ করছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ এমআরটি পাসের দিকে বেশি নজর দিচ্ছি। এমআরটি পাস যত হবে ততবেশি আয় হবে। কারণ এমআরটি পাসে বার বার টিকিট মেশিনের ব্যবহার নেই। যাত্রীরা মেশিনে টিকিট সংগ্রহ ছাড়াই সহজেই মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে পারবেন।
গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন থেকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে মেট্রোরেল।
বর্তমানে উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলছে মেট্রোরেল। ধীরে ধীরে এই রুটের সব স্টেশনে থামবে মেট্রোরেল।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্র জানায়, প্রথম দিন সিঙ্গেল টিকিট বিক্রি হয়েছিল ৩ হাজার ৯৯৬টি। প্রতি টিকিটের দাম ৬০ টাকা। মেট্রোরেলে যাতায়াতের জন্য ৩০৪টি এমআরটি পাস বিক্রি হয়। প্রতিটি পাসের দাম ৫০০ টাকা। এর মধ্যে কার্ডের জামানত ২০০ টাকা, বাকি ৩০০ টাকা ব্যালান্স, যা দিয়ে ভ্রমণ করা যাবে। আর কার্ড জমা দিলে জামানতের টাকা ফেরত দেবে সরকার। অর্থাৎ আগারগাঁও থেকে উত্তরা স্টেশনে ২৫ বার এবং উত্তরা থেকে আগারগাঁও সমানসংখ্যক বার, মোট ৫০টি ট্রিপ হয়েছে আজ।