May 21, 2024
জাতীয়

দীঘিনালায় সেনাবাহিনীর সাথে গুলি বিনিময়ে ৩ সন্ত্রাসী নিহত

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

খাগড়াছড়ির দীঘিনালার বরাদম এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দলের সঙ্গে ইউপিডিএফ প্রসীত গ্র“পপন্থি সন্ত্রাসীদের গুলিবিনিময়ে নিহত তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে সুরতহাল করে পুলিশ মরদেহগুলো দীঘিনালা থানায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য তিন মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ঘটনাটির পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পুলিশ নিহতদের পরিচয় বলতে না পারলেও ইউপিডিএফ নিজেদের সদস্য দাবি করে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে। নিহত তিনজন হলেন- দীঘিনালার মেরুং বেতছড়ি গ্রামের ধন্যসেন চাকমার ছেলে নবীন জ্যোতি চাকমা (৩৮), ইন্দ্রমুনি পাড়ার তঙ্যারাম চাকমার ছেলে ভূজেন্দ্র চাকমা (৫০) ও হাচিনসনপুর গ্রামের সুজিত প্রিয় চাকমার ছেলে রুচিল চাকমা ওরফে রাসেল (২৬)।

ঘটনাটির বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউপিডিএফ (প্রসীত গ্র“প) দলের ৭-৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীর উপস্থিতি টের পেয়ে দীঘিনালা সেনা জোন থেকে একটি টহল দল ওই এলাকায় পৌঁছায়। সন্ত্রাসীরা সেনাসদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। সেনাবাহিনীর টহল দল তৎক্ষণাৎ পাল্টা গুলিবর্ষণ করে এবং উভয়পক্ষের মধ্যে আনুমানিক ১০-১৫ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। সেনাসদস্যদের চাপের মুখে সন্ত্রাসী দল পিছু হটতে বাধ্য হয়। গুলিবিনিময়ে ইউপিডিএফ দলের তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়।

পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর টহল দল ওই এলাকায় তল­াশি করে দু’টি পিস্তল (৮ রাউন্ড গুলিসহ), একটি আমেরিকান এম-৪ অটোমেটিক কারবাইন (৪ রাউন্ড গুলিসহ) উদ্ধার করে। অভিযান চলাকালে একাধিক সন্ত্রাসী আহত হয়েছে বলে অনুমান করা যায়। পরে দীঘিনালা থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ তিনটি নিয়ে যায়।

আইএসপিআর আরও জানায়, বর্তমানে ওই স্থানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। ভবিষ্যতেও এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রওনক আলম বলেন, আমরা দুপুরে সেনাবাহিনীর বরাদম ক্যাম্প থেকে সংবাদ পেয়ে সেখানকার দজপাড়া এলাকায় যাই এবং গুলিবিদ্ধ তিনটি মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহগুলো সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এখনো নিহতদের কোনো আত্মীয়-স্বজন আসেনি। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *