January 21, 2025
আঞ্চলিকলেটেস্ট

দিঘলিয়ায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে পাশবিক নির্যাতন, স্বামী গ্রেফতার

দ. প্রতিবেদক
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুরে যৌতুকের দাবি স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দ্বারা পাশবিক নির্যাতরে শিকার হয়েছে গৃহবধূ। মশার কয়েলের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থান। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামী ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অন্য আসামীরা বাইরে থাকায় প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে ভুক্তভোগীর পরিবারকে, আর গ্রেফতার আসামীকে ছাড়াতে বিভিন্ন স্থানে তদবির করছেন বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ফাল্গুনে বটিয়াঘাটার মিতালী দাস (১৯) এর বিয়ে হয় দিঘলিয়ার বারাকপুর গ্রামের বাবুল দাসের (২৭) সাথে। বলতে গেলে হাতের মেহেদীর রং মোছার আগেই যৌতুকের দাবিতে নববধূর জীবনে নেমে আসে নরকের নির্যাতন। গত ২ মে দিবাগত রাতে তাকে কৌশলে বিষাক্ত ঔষুধ খাওয়ানো হয়। তারপর ঘুমে আচ্ছন্ন অচেতন অবস্থায় শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে মশার কয়েলের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। তারপর পিতা-মাতার সহায়তায় উদ্ধার হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা নিয়ে দিঘলিয়া থানায় মামলা করতে যায়। নানা প্রতিকূলতার মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান এবং মানবাধিকার কমিশন এর যৌথ প্রচেষ্টায় গত সোমবার দিঘরিয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়েছে। দিঘলিয়া থানার মামলা নং-২ তারিখ-৫/৭/২০২০। ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন -২০০০ (সংশোধন ২০০৩) এর ১১/খ।
মামলায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ীসহ ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা হলেন গৃহবধূর স্বামী বাবুল দাস (২৭), শ্বশুর শিবে দাস (৫৫), শাশুড়ী ময়না দাস (৪০) ও ননদের স্বামী দিলীপ দাস (৩৭)। এ ঘটনায় প্রধান আসামী বাবুল দাসকে গ্রেফতার করা হলেও অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে।
এলাকাবাসী এই নির্মম নির্যাতনের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছে। পরিবার এর পক্ষ থেকে পাষণ্ড স্বামীর মৃত্যুদণ্ড দাবি করছে। এমন নিষ্ঠুর, নির্মম নির্যাতনের শিকার যেন আর কোন গৃহবধূ না হয়, দাবি ভুক্তভোগীর পরিবারের।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *