দিঘলিয়ায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজে বিলম্ব
গাজী জামসেদুল ইসলাম, দিঘলিয়া
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ জুন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে একযোগে সারাদেশের ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন ঘোষণা করলেও খুলনার দিঘলিয়া উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণের কাজ ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় এখনও থমকে আছে। অথচ একইসাথে উদ্বোধনের পরিকল্পনা ছিল এ মসজিদটির। উপজেলা সদরে দূর-দূরান্ত থেকে আগত সেবা প্রত্যাশীদের নামাজের জন্য নেই তেমন কোন সু-ব্যবস্থা, বর্তমানে পুরাতন উপজেলা পরিষদ ভবনের নিচতলায় সল্প পরিসরে নামাজের ব্যবসা আছে, যার অবস্থা খুবই নাজুক। দিঘলিয়াবাসীর প্রশ্ন কবে শুরু হবে মডেল মসজিদের কাজ, আর কবেই বা শেষ হবে? এ ব্যাপারে এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খুলনা গণপূর্ত বিভাগ-১ থেকে ২০১৯ সালের ১৬ জুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ লতিফুল ইসলাম, জেভি কন্সট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ পাশ। কার্যাদেশ দেওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল, কিন্তু সকল প্রস্তুতি থাকা স্বত্তেও ২৪ মাস পার হলেও নির্মাণ কাজ শুরুই করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জমি অধিগ্রহণের ছাড়পত্র না পাওয়াই এর মূল কারণ। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি, অন্যদিকে পুরাতন মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলায় জামাতে নামাজ আদায়ে মারাত্মক অসুবিধায় পড়েছেন নিকটবর্তী এলাকার মুসল্লিরা।
মডেল মসজিদে শুধু নামাজের স্থান নয়, ইসলামী গবেষণা, সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চার স্থানও রয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় দিঘলিয়া উপজেলা সদরে ৩১ শতক জায়গার উপর সোয়া ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স’ নির্মাণের স্থান নির্ধারণ হয়।
এ বিষয়ে দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহাবুবুল আলম বলেন, উপজেলা পরিষদের কেন্দ্রীয় এ মসজিদটির নির্মাণ কাজ যাতে দ্রæত শুরু হয় সে লক্ষ্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রথমে পুরাতন মসজিদের স্থানে স্থানীয়দের দানকৃত জমিতে হওয়ার কথা থাকলেও, মসজিদের লে-আউট দিতে গিয়ে দেখা যায় মসজিদের কেবলার অবস্থান হবে কৌণিক আকারের। যে কারণ প্রস্তাবিত জমির পরিমাণ বেড়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে জমি অধিগ্রহণ এর জন্য প্রস্তাব পাঠাই কিন্তু ধর্ম মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রস্তাব পাঠাতে বলেন। আমরা সে মোতাবেক খুলনা জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবনা ধর্ম মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। এখন ভূমি অধিগ্রহণ হলে, কাজ শুরু করা যাবে। এই আধুনিক মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মিত হলে উপজেলার ইসলামি ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম এখান থেকে পরিচালিত হবে।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়