May 11, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

দল বেঁধে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ, যানজটে স্থবির

ঢাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকলেও কোনোকিছুরই তোয়াক্কা করছে না মানুষ। ঢাকা থেকে যেমনি দলে দলে গ্রামে ফিরছে, তেমনি অবাধে ঢাকায়ও প্রবেশ করছে। ফলে ফের যানজটে স্থবির ঢাকা। অবাধে চলছে যানবাহনও।

মঙ্গলবার (১৯ মে) রাজধানীর সড়কে সড়কে প্রচণ্ড রকমের যানজট দেখা গেছে। যানজট ও মানুষের অবাধ চলাচলে করোনার ঝুঁকিও বেড়েই চলছে। এতে সচেতনতার অভাবকেই দায়ী করছেন দয়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা।

সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকার প্রবেশপথ কিংবা বের হওয়ার পথে পুলিশের তৎপরতাও কমেছে। কড়াকড়ি কম থাকায় মানুষ ইচ্ছেমতো শারীরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই ঘুরে বেড়াচ্ছে।

গত এক মাসের মধ্যে মঙ্গলবার ঢাকায় নজিরবিহীন যানজট দেখা গেছে। রাজধানীর উত্তরা, বনানী, গাবতলী, মিরপুর, ফার্মগেট, বাবু বাজার ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় প্রচণ্ড রকমের যানজট দেখা গেছে। ১০ মিনিটের রাস্তা এক ঘণ্টায়ও পার হতে পারেননি অনেকে।

গাবতলীতে গিয়ে দেখা যায়, গাড়ির চাকা ধীর গতিতে চলছে। ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লেগুনা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা ও মোটরবাইকের দখলে সড়ক। এসব যানবাহনে গাদাগাদি করে ঈদে বাড়ি ফিরছে রাজধানীর মানুষ। পুলিশের তৎপরতা শিথিল থাকায় স্বাভাবিক দিনের মতো যানজট। তবে কয়েক ঘণ্টা পরপর পুলিশকে সক্রিয়ও হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আব্দুল্লাহ পুর পর্যন্ত গাড়ির দীর্ঘ লাইন। প্রাইভেট গাড়ির লাইন স্বাভাবিক দিনের মতো যানজট তৈরি করেছে। ফের ভোগান্তিও বেড়েছে নগরবাসীর।

একই অবস্থা রাজধানীর বাবুবাজার থেকে মাওয়াগামী সড়কেও। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যে যেভাবে পারছে, সেভাবেই ঢাকা থেকে বের হচ্ছে।

মূলত ঈদকে সামনে রেখে একেবারেই পুরোনো চেহারায় ফিরেছে রাজধানী। শুধু গণপরিবহন ছাড়া সব গাড়ি চলছে। ফার্মগেট, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউসহ বিভিন্ন এলাকায়ও দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।

ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আবির হাসান বলেন, এত গাড়ি, আমাদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

গাবতলীতে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল সুফি মিয়া বলেন, আমরা তল্লাশি করছি। যাতে ঢাকা থেকে গাড়ি বাইরে না যায়।

গাড়িচালক আহমেদ জসিম  বলেন, গত এক মাসের মধ্যে এত যানজট ঢাকায় দেখিনি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *