তেরখাদায় স্ত্রীকে আনতে গিয়ে শ্যালক কুপিয়ে হত্যা, ভগ্নিপতির মৃত্যুদণ্ড
দ: প্রতিবেদক
খুলনার তেরখাদা উপজেলায় স্ত্রীকে শ্বশুর বাড়িতে আনতে গিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে শ্যালক কালু খাঁকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ভগ্নিপতি আমিনুর খাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। খুলনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী গতকাল রবিবার এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আমিনুর খাঁ আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি এনামুল হক। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন হুমায়ুন কবির।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলার কুশল গ্রামের কালু খাঁর ছোট বোন হেলেনা বেগম ওরফে মধুর সঙ্গে একই এলাকার আমিনুর খাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আমিনুর হেলেনা বেগমকে নানাভাবে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের এক পর্যায়ে ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট হেলেনা বেগম তার বাবার বাড়ি চলে আসেন। এরপর ৯ আগস্ট আমিনুল খাঁ নিজেই হেলেনা বেগমকে ফিরিয়ে আনতে ওই বাড়ি যান। এসময় কালু খাঁর সঙ্গে আমিনুরের বাকবিতণ্ডা হয়। এর এক পর্যায়ে আমিনুর ক্ষিপ্ত কালুর ওপর কুড়াল নিয়ে আক্রমণ করে। সে কালুকে ৫ থেকে ৬টি কোপ দেয়। এ সময় তার পাশে থাকা কালুর স্ত্রী খাদিজা বেগমও আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাতেই খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কালু খাঁ মারা যান। এ ঘটনায় কালুর ছেলে আশানুর খাঁ ১০ আগস্ট তেরখাদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে এসআই পলাশ কুমার দাস ২০১৮ সালের ১২ মার্চ আমিনুরের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার শুনানির সময় আদালত ১৯ জন সাক্ষির সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। রবিবার আদালতের বিচারক এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনি আমিনুর খাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।