তেরখাদার শীর্ষ সন্ত্রাসী ঝিলু মুন্সীর বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার, রিমান্ডের আবেদন
দ. প্রতিবেদক
তেরখাদা উপজেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী, নানা অপকর্মের হোতা ও হত্যাসহ ৯ মামলার আসামী তরিকুল ইসলাম ওরফে ঝিলু মুন্সীর বাড়ি থেকে পুলিশ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে মধুপুর ইউনিয়নের মোকামপুর এলাকা থেকে ঝিলু মুন্সিকে গ্রেফতার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ৫, তাং ১০/০৭/২০।
অপরদিকে আজ শুক্রবার গ্রেফতারকৃত ঝিলু মুন্সিকে খুলনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে। তবে রবিবার আদালত খোলার পর রিমান্ড শুনানী হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, ঝিলু মুন্সীকে থানায় এনেই তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয় এবং একটি অবৈধ পিস্তল উদ্ধার করা হয়। বাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলাও হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসী ঝিলু মুন্সীর বিরুদ্ধে এলাকায় ত্রাস, হত্যাসহ ৯টি মামলা রয়েছে।
সন্ত্রাসী ঝিলু মুন্সী তেরখাদার আটলিয়ায় ঝিলু বাহিনীর প্রধান এবং মৃত ফুলমিয়া মুন্সীর ছেলে। সে উপজেলার আটলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় মূর্তিমান আতঙ্ক ছিল। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, খুন, মানুষের হাত পা কেটে পঙ্গু করে দেওয়া ঝিলুর নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। গ্রেফতার এড়াতে সে খুলনায় আত্মগোপন করে থাকতো। এদিকে তার গ্রেফতারের সংবাদ আটলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় জনগণ মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, সস্ত্রাসী ঝিলু মুন্সী ২০১৮ সালে সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আ’লীগর সভাপতি ও ইউপি সদস্য গোলাম মওলাকে প্রকাশ্যে দিবলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ২০১৯ সালের ৭ জুন আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল ভূইয়াকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তার পুত্র ছাত্রলীগ নেতা রমিজ ভূইয়াকে ধরে নিয়ে আটলিয়া বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রমিজের ডান পা কেটে পঙ্গু করে দেয়।