তৃণমূল পর্যায় থেকে রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহ করা হবে : সচিব
পাইকগাছা প্রতিনিধি
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে এ দেশের মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাঁজি রেখে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের বিপুল আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ ও লাল সবুজ পতাকা।
সচিব স্থানীয় বীরঙ্গনা গুরুদাশীর নাম গেজেটভুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, কপিলমুনির মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক স্তম্ভসহ স্বাধীনতা উদ্যান, মিউজিয়াম স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি শনিবার সকালে পাইকগাছার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শন ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তৃণমূল রাজাকারদের তালিকা কিভাবে প্রণয়ন করা হবে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব তরুন কান্তি ঘোষ বলেন, রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নে এমপি শাজাহান খানকে প্রধান করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একটি সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি কমান্ড কাউন্সিলের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহ করবে।
কবে নাগাদ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সারাদেশের সংগ্রহের কাজ শেষ হলে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। এজন্য বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে মন্তব্য করেন।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ইউএনও এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম কবির, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার ইকবাল মন্টু, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মলঙ্গী, আবুল কালাম আজাদ, রণজিত সরকার, সুবোল মন্ডল, কাজী তোকাররম হোসেন টুকু, জামিরুল ইসলাম, আব্দুল গফুর ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ শেখ তৈয়েব হোসেন নূর। এর আগে সচিব বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন, কপিলমুনির মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শন এবং বধ্যভূমির স্মৃতি স্তম্ভ, স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করার মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন / এম জে এফ