তুফানের ধর্ষণ মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বগুড়ায় এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে ও তার মাকে পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করার দুই মামলার আসামি শ্রমিক লীগের বহিস্কৃত নেতা তুফান সরকারের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন ধর্ষণের মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তুফানের জামিন আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে ও আকতার ফরহাদ জামান।
পরে কুমার দেবুল দে সাংবাদিকদের বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা ধর্ষণের মামলায় তুফান সরকারের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালত বলেছে, ছয় মাসের মধ্যে মামলাটির নিষ্পত্তি করতে হবে।
গত বছরের ১০ অক্টোবর তুফান সরকারসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ। ধর্ষণের মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ১০ জনকে এবং মস্তক মুণ্ডনের মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয় সেখানে। দুই মামলাতেই তুফান সরকার প্রধান আসামি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই এক কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেন তুফান সরকার। পরে ২৮ জুলাই তুফানের আত্মীয় পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মার্জিয়া হাসান রুমকির বাসায় নিয়ে গিয়ে মা ও মেয়েকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।
ওই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় দুটি মামলা করেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা, শাশুড়ি রুমি খাতুন ও শ্যালিকা মার্জিয়া হাসান রুমকিসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।
ওই ঘটনায় বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তুফান ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়। চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল জামিন নামঞ্জুর করলে হাই কোর্টে আসেন তুফানের আইনজীবীরা।