তালায় গৃহবধূ পুষ্প রাণী হত্যার ৫ দিন পর ঘাতক বেয়াই আটক
তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
তালা উপজেলার বারাত গ্রামের পাটক্ষেত থেকে গৃহবধু পুষ্প রানী দাস (৪০) হত্যার ঘটনায় নিহতের বেয়াই (মেয়ে অঞ্জলী দাসের শ্বশুর) জয়দেব দাস (৫২) কে আটক করেছে র্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার রাতে তাকে খুলনা জেলার ফুলতলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত জয়দেব দাস (৫২) সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানাধীন তৈলকুপি গ্রামের গৌর দাসের ছেলে।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুন বিকেলে তালা থানার বারাত গ্রামের মনোরঞ্জন দাসের স্ত্রী পুষ্প রানী দাস (৪২) নিখোঁজ হন। ওই দিন সন্ধ্যার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর গত ২২ জুন পুষ্প দাসের ছেলে জয়দেব তালা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে। নিখোঁজের আট দিন পর গত ২৮ জুন দুপুরে দেড়টার দিকে গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে তালা থানা পুলিশ বারাত গ্রামের জনৈক বিল্লাল শেখের পাটক্ষেত থেকে তার গলিত লাশ উদ্ধার করে।
খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পরিচালক এম. মাহামুদুর রহমান মোল্লা জানান, লাশ উদ্ধারের রাতেই নিহতের ছেলে জয়দেব বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় তালা থানার উপ-পরিদর্শক প্রীতিশ রায়কে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ ও র্যাব। নিহতের মোবাইল কললিষ্ট যাঁচাই করে পুষ্প রানীর মেয়ে অঞ্জলী দাসের শ্বশুর জয়দেব দাসকে খুলনার ফুলতলা এলাকা থেকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক জয়দেব দাস তার আপন বেয়ান পুষ্প রানী দাসকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তালা থানার উপ-পরিদর্শক প্রীতিশ রায় জানান, আটক জয়দেবকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল জানান, আটক জয়দেব দাস হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবান বন্দী দিয়েছে।