April 25, 2024
জাতীয়

তামাকজাত পণ্যের উপর কার্যকর ও বর্ধিত হারে করারোপের দাবিতে পদযাত্রা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২০১৯-২০ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে সকল তামাকজাত পণ্যের উপর কার্যকর ও  বর্ধিত হারে করারোপের দাবিতে আজ ২৪ জুন ২০১৯ সকাল ১০.৩০ মিনিটে রাজধানীর  শাহবাগ থেকে প্রেস ক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রা  আয়োজন করা হয়। ঢাকা আহ্ছানিয়া  মিশনের উদ্যোগে তামাকবিরোধী সংগঠন  ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, এসোসিয়েশন ফর
কমিউনিটি ডেভেলপমেনট (এসিডি),ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল একশন( ইপসা),সুশাসনের  জন্য প্রচারাভিযান (সুপ্র), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা),
তামাকবিরোধী নারী জোট (তাবিনাজ), প্রজ্ঞা, ব্যুরো অব ইকনোমিক রিসার্চ,  ওর্য়াক ফর বেটার বাংলাদেশ (ডবিøউবিবি) ট্রাস্ট, ন্যাশনাল এন্টি  টিউবারক্লোসিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নাটাব), প্রত্যাশা,  টোব্যাকো  কন্ট্রোল রির্সাস সেল (টিসিআরসি), গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, বাংলাদেশ  সেন্টার ফর কমিউনিক্যাশ প্রোগ্রামস (বিসিসিপি), এইড ফাউন্ডেশন পদযাত্রায়  অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকাসহ সারা দেশের  বিভিন্ন জেলায় এক যোগে একই সময় পদযাত্রা  অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে সকল তামাকবিরোধী সংগঠন সমূহের দাবি,  নিন্মস্তরে প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটের সর্বনি¤œ মূল্য ৩৭ টাকার পরিবর্তে ৫০  টাকা নির্ধারণ করা। নি¤œস্তরের সিগারেটের উপর বিদ্যমান ৫৫ শতাংশ সম্পূরক  শুল্কের পরিবর্তে ৬০ শতাংশ করা এবং মধ্যম, উচ্চ ও  প্রিমিয়াম স্তরে  বিদ্যমান ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্কের পরিবর্তে ৭০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং  প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটে ৫ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। বিড়ির  ফিল্টার- ননফিল্টার মূল্যবিভাজন তুলে দিয়ে ২৫ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণ এবং ৪৫% সম্পূরক শুল্ক ও ৬ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা এবং প্রতি ১০ গ্রাম
গুলের খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা। ১০ গ্রাম জর্দা ও গুলের উপর যথাক্রমে ৫ টাকা এবং ৩ টাকা সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা। অপ্রক্রিয়াজাত
তামাকের বিদ্যমান ১০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক বহাল এবং প্রক্রিয়াজাত  তামাকপণ্যের ওপর পুনরায় ২৫ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করা। জনস্বার্থে তামাক কোম্পানিগুলোর উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ সুযোগ বাতিল করতে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ৪৬ ধারার অন্তর্গত উপধারা ৩ এর দফা ‘ঙ’ পুনর্বহাল করা, যেখানে তামাক ও এলকোহলযুক্ত পণ্যের ক্ষেত্রে এধরনের সুযোগ গ্রহণ রহিত করা হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের তামাক কর প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন করা হলে, প্রায় ৩.২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী (১.৩ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং ১.৯ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে। সিগারেটের ব্যবহার ১৪%  থেকে হ্রাস পেয়ে প্রায় ১২.৫% এবং বিড়ি ব্যবহার ৫% হ্রাস পেয়ে ৩.৪% হবে। দীর্ঘমেয়াদে ১ মিলিয়ন বর্তমান ধূমপায়ীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে (০.৪৬ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী ও ০.৫৩ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী)। ৬ হাজার ৬৮০ কোটি থেকে ১১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার মধ্যে (জিডিপি’র ০.৪ শতাংশ পর্যন্ত ) অতিরিক্ত রাজস্ব আয় অর্জিত হবে। এই অতিরিক্ত রাজস্ব তামাক ব্যবহারের ক্ষতি হ্রাস , অকাল মৃত্যু রোধ এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যয় করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *