তাইওয়ান প্রণালীতে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ, চীনের কড়া প্রতিক্রিয়া
তাইওয়ান প্রণালী অতিক্রম করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধজাহাজ। এতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন।
যদিও বিষয়টিকে নিজেদের রুটিন কার্যক্রম বলছে ওয়াশিংটন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) চীন ও তাইওয়ানকে পৃথককারী ওই স্পর্শকাতর এলাকায় ঢোকে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী ফ্রিগেট ইউএস চুং হুন।
এ ঘটনায় চীন বেশ ক্ষুব্ধ। বিষয়টি আবার ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
মার্কিন রণতরীর অনুপ্রবেশের বিষয়ে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপ নতুন করে এ অঞ্চলে অশান্তি আর উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। চীন (এ বিষয়ে) উচ্চসতর্কতা অবলম্বন করবে এবং যে কোনো সময় সব হুমকি ও উসকানির জবাব দিতে প্রস্তুত থাকবে। কারণ, চীন তার জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে।
এদিকে এক বিবৃতিতে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে চুং-হুনের ট্রানজিট একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।
পাল্টা বিবৃতিতে ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেছেন, চীন দৃঢ়ভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলি নেভিগেশনের স্বাধীনতা অনুশীলনের নামে প্রায়শই অযাচিত শক্তি প্রদর্শন করে। ঘটনাটি ওই অঞ্চলকে মুক্ত এবং উন্মুক্ত রাখার কোনো বিষয় নয়।
বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে অবিলম্বে ঝামেলা উসকে দেওয়া, উত্তেজনা বৃদ্ধি করা এবং তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন রণতরীটি প্রণালী দিয়ে উত্তর দিকে রওনা হয়েছিল। চীনা বাহিনী রণতরীটি পর্যবেক্ষণ করেছে।
গত বছরে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী তাইওয়ান প্রণালী পাড়ি দেওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশেরও যুদ্ধজাহাজ বিতর্কিত এ জলসীমা পাড়ি দিয়েছে। চীন এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে।
কারণ, তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন।