April 19, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে পদত্যাগের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে সমালোচিত তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবারের মধ্যে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কথা জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং আমি রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিই।’

এর আগে সোমবার সকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটি দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ এবং ১৫তম সংশোধনী বাতিল করে ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনর্বহাল রাখার বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন মুরাদ হাসান। গত ১ ডিসেম্বর রাতে ‘অসুস্থ খালেদা, বিকৃত বিএনপির নেতাকর্মী’ শিরোনামে এক ফেসবুক লাইভে যুক্ত হন মুরাদ হাসান। লাইভটির সঞ্চালক ছিলেন নাহিদ রেইনস নামে এক ইউটিউবার ও ফেসবুকার। লাইভের এক পর্যায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমা রহমানকে নিয়ে তিনি বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেন নারী নেত্রীরা।

এর মধ্যেই সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফোনালাপ ভাইরাল হয়। দাবি করা হচ্ছে, এই কথোপকথনটি ডা. মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। ফোনালাপে মুরাদ মাহিয়া মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেন। পুরো বক্তব্যে ‘অশ্রাব্য’ কিছু শব্দ উচ্চারিত হয়েছে। ফোনালাপে থাকা চিত্রনায়ক ইমন ইতিমধ্যে সেটা স্বীকারও করেছেন।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা হলেও এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি ডা. মুরাদ হাসান। সোমবার তিনি মন্ত্রণালয়েও আসেননি। বিকালে সেগুনবাগিচায় শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তার যোগ দেওয়ার পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল, সেখানেও যাননি।

মুরাদ হাসান জামালপুর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের মন্ত্রিসভায় তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর ১৯ মে ২০১৯ তারিখ থেকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এর আজীবন সদস্য।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *