ডি ভিলিয়ার্সের পাশে দাঁড়ালেন কোহলি-যুবরাজ
ক্রীড়া ডেস্ক
গুঞ্জন উঠেছিল অবসর ভেঙে দলে ফিরে বিশ্বকাপ খেলতে চেয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা সাড়া দেয়নি। বিষয়টি ক্রিকেট বিশ্বে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। তখন এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে তিনি টুঁ শব্দ করেননি। এতদিনে বিশ্বকাপে ‘খেলতে চাওয়া’ নিয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে সহানুভূতি জানিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও সাবেক ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং।
গত বছর জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়ায় তুমুল সমালোচিত হওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ‘সবচেয়ে সৎ এবং বিশ্বস্ত’ মানুষ হিসেবে অভিহিত করেছেন কোহলি। ডি ভিলিয়ার্সের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে কোহলি লিখেছেন, ‘আমার ভাই, তুমি আমার দেখা সবচেয়ে সৎ ও বিশ্বস্ত মানুষ। তোমার সঙ্গে যা হচ্ছে তা খুব দুঃখজনক। কিন্তু জেনে রেখো, আমরা তোমার পাশে আছি এবং তোমার প্রতি বিশ্বাস অটুট আছে।’
‘তোমার ব্যক্তিগত জীবনে অন্যদের হস্তক্ষেপ দেখে কষ্ট লাগছে এবং এটা অনভিপ্রেত। তোমার এবং তোমার সুন্দর পরিবারের প্রতি অনেক ভালোবাসা। আমি আর আনুশকা সবসময় তোমাদের পাশে আছি।’
বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং লিখেছেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু ও কিংবদন্তি, আমি যাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছি তুমি তাদের মধ্যে অন্যতম সেরা মানুষ। তুমি একপ্রকার রতœ। তোমাকে ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপে জেতার কোনো সুযোগই ছিল না। তোমাকে স্কোয়াডে না রাখা এটা তোমার দেশের ক্ষতি, তোমার নয়। যত বড় খেলোয়াড়, তত বেশি সমালোচনা! আমরা সবাই জানি তুমি কতটা ভদ্রলোক।’
ভুলে যাওয়ার মতো এক বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যে দলটিকে বলা হচ্ছিল অন্যতম ফেভারিট, সেই দলটিই কিনা পয়েন্ট টেবিলের সাতে থেকে বিদায় নিয়েছে। শুরু থেকে প্রায় সব দলের সহজ প্রতিপক্ষ হয়ে গিয়েছিল প্রোটিয়ারা। যদিও শেষ দিকে কয়েকটা জয়ের দেখা পেয়েছে, তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
একদিকে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপর্যয়, অন্যদিকে হুট করেই এবি’র দলে ফেরা নিয়ে আলোচনা। এক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়, বিশ্বকাপের আগে অবসর ভেঙে ফিরতে চেয়েছিলেন এবি। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট নাকি সরাসরি ‘না’ করে দেয়। এতদিন এবি নিজেও নিঃশ্চুপ ছিলেন। এবার সবকিছুর ইতি টানলেন এক বিবৃতিতে।
তিনি বলেছেন, ‘সেই সময়ে (বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সময়) প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড ও আমার মাঝে কোনো ধরনের যোগাযোগ হয়নি। আমি দলের বাইরে থাকা অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো খেলছিল ডু প্লেসিসের অধীনে। ডু প্লেসিস ও আমি স্কুলের ভালো বন্ধু ছিলাম। আমি আইপিএলে ভালো ফর্মে ছিলাম। বিশ্বকাপ দল ঘোষণার দুই দিন আগে তার (ডু প্লেসিস) সঙ্গে আমার কথা হয়। আমি বলেছিলাম দলের প্রয়োজনে আমি খেলবো তবে শুধু প্রয়োজন হলে। আমি এজন্য কোনো চাপ দেইনি আর আমি দলে সুযোগ পাওয়ার আশাও করিনি।’