ঠাকুরগাঁওয়ে দম্পতির ঝুলন্ত লাশ, পাশে চিরকুট
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় নিজেদের ঘরে এক দম্পতির ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে, যেখানে পাওয়া একটি চিরকুটে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলা হয়।
মঙ্গলবার লেহেম্বা ইউনিয়নের চাপোড় পার্বতীপুর গ্রাম থেকে ওই তরুণ দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয় বলে রাণীশংকৈল থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান।
মৃত বিপুল কুমার রায় (২৩) ও পারুল রাণী (২০) চাপোড় পার্বতীপুর গ্রামের বাসিন্দা। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিপুল দর্জি পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
বিপুল কুমার রায়ের প্রতিবেশী ফয়ফুল ইসলাম বলেন, বিপুল ওই বাড়িতে পালক মা মিমিতা বালা ও স্ত্রী পারুলসহ থাকতেন।
পরিবারের বরাতে ওসি আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার রাতে বিপুল ও পারুল খাওয়াদাওয়া করে নিজেদের ঘরে ঘুমাতে যান।
“মঙ্গলবার ভোরে মিমিতা বালা ঘুম থেকে উঠে বিপুলের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে তাদের ডাকেন। কিন্তু সাড়া না পেয়ে দরজার ফাঁকা দিয়ে বিপুল ও পারুলকে ঝুলতে দেখেন। তখন তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে।”
খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে ঝুলন্ত লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায় বলে ওসি জানান।
এই দম্পতির লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে জানান ওসি আব্দুল মান্নান।
চিরকুটে লিখা ছিল, “আমাদের মৃত্যুর কারণ কেউ নয়। আমরা নিজেদের ইচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছি।”
বিপুল রায়ের পালক মা মিমিতা বালা বলেন, “বউমা সাত মাসের অন্তঃস্বত্বা ছিল। কী কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে বুঝতে পারছি না।”
ওসি আব্দুল মান্না বলেন, “সুরতহাল রিপোর্ট করার সময় এই দম্পতির শরীর থেকে কীটনাশকের গন্ধ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তারা প্রথমে কীটনাশক পান করে পরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি; তদন্ত চলছে।”
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে ওসি জানান।