May 3, 2024
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্প প্রশাসনের তালেবান চুক্তি খতিয়ে দেখবেন বাইডেন

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তালেবানের সঙ্গে যে শান্তি চুক্তি করেছিলেন তা বর্তমান বাইডেন প্রশাসন খতিয়ে দেখবে। চুক্তির আওতায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ ও সহিংসতা কমানোসহ অন্যান্য প্রতিশ্রুতিগুলো তালেবান রক্ষা করছে কিনা তা নিশ্চিত হতে চায় হোয়াইট হাউস। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র এমিলি হর্নের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শীর্ষ নিরাপত্তা পরামর্শক জেইক সালিভান এই খতিয়ে দেখার বিষয়টি আফগান কর্মকর্তাদের নিশ্চিত করেছেন। সম্প্রতি আফগানিস্তানে টার্গেট করে গুপ্তহত্যার সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।

শুক্রবার এমিলি হর্নে বলেন, ‘সালিভান গুরুত্ব দিচ্ছেন যে, শক্তিশালী ও আঞ্চলিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাবে। এর উদ্দেশ্য হবে দুই পক্ষ যেন একটি দীর্ঘমেয়াদী ও রাজনৈতিক সমঝোতায় আসতে পারে এবং স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি হয়।’

২০০১ এর নাইন-ইলেভেন সন্ত্রাসী হামলার পর তালেবানদের উৎখাত করতে আফগানিস্তানে ওই বছর থেকে মার্কিন সেনা নিয়োজিত হয়। তবে গত কয়েক বছরে তালেবানরা বিদ্রোহী শক্তি হিসেবে নিজেদের আবার পুনর্গঠিত করেছে এবং ২০১৮ থেকে আফগানিস্থানের দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চল জুড়ে সক্রিয় রয়েছে। দেশটির নির্বাচিত সরকারকেও তারা হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

এ মাসের শুরুর দিকে আফগান ভাইস-প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ বিবিসিকে বলেন, তিনি মনে করেন চুক্তির অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তালেবানদের অনেক বেশি স্বীকৃতি দিয়েছে।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিতে বলা হয়, তালেবান যদি তাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো জোট আফগানিস্তান থেকে ১৪ মাসের মধ্যে সকল সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। চুক্তির আওতায় আরও ছিল, তালেবানরা তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে আল কায়দাকে কর্মকাণ্ড চালাতে দেবে না এবং জাতীয় শান্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আলোচনায় বসবে।

এই ঐতিহাসিক চুক্তি মেনে কট্টরপন্থী ইসলামী সংগঠন তালেবান আন্তর্জাতিক সেনাদের হামলা চালানো বন্ধ করলেও আফগান সরকারের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় তালেবান শর্ত দিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের হাজারেরও বেশি সদস্যকে মুক্তি দিতে হবে।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। এদিকে দেশটিতে সাংবাদিক, সমাজকর্মী, রাজনীতিক ও নারী বিচারকদের লক্ষ্যবস্তু করে হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *