April 20, 2024
আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লেখিকার ধর্ষণের অভিযোগ

 

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা লেখিকা ও কলামনিস্ট ই. জেন ক্যারল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুই দশক আগে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে তাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনেছেন।

শুক্রবার নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে ক্যারলের লেখা বইয়ের উলে­খযোগ্য অংশ প্রকাশ পায়। সেখানে ১৯৯৫ সালের শেষ দিক বা ১৯৯৬ সালের শুরুর দিকের ওই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হয়।

ওই দিন বিকালে ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যারল আবারও একই অভিযোগ তুলে বলেন, ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ড্রেসিংরুমে ওই সময়ের প্রভাবশালী আবাসন ব্যবসায়ী ট্রাম্প তার উপর হামলে পড়েন। তিনি দেয়ালে আমার মাথা ঠুকে দেন, আমার টাইটস টেনে খুলে ফেলেন এবং চেপে ধরে ধর্ষণ শুরু করেন। আমি কোনো মতে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দৌড়ে বেরিয়ে যাই।

এতদিন পর কেন এ ঘটনা প্রকাশ করছেন এমন প্রশ্নের জাবাবে ক্যারল বলেন, আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এ ঘটনার কথা প্রকাশ করে আমি অন্য নারীদের সাহস যোগাতে পারবো বলে আশা করছি। যেন তারা অপরাধবোধে না ভোগে এবং সামনে এগিয়ে আসেন। তখন আমি ওই ঘটনার জন্য নিজেকেই দায়ী করেছিলাম। যে কারণে চুপ ছিলাম এবং অপরাধবোধে ভুগতাম। নিজেকে কষ্ট দিয়েছি।

ক্যারলের বয়স এখন ৭৫ বছর। দুই দশকের বেশি সময় আগে ঘটা ওই ঘটনার কথা তিনি তার দুইজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে জানিয়েছিলেন। তাদের একজন শুক্রবার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, ঘটনার পরপরই ক্যারল তাকে সব কথা বলেছিলেন। কিন্তু তখন তিনি ক্যারলকে পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেননি।

এদিকে, বরাবরের মত ট্রাম্প তার বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের এই অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি একে ‘মিথ্যা খবর’ বলে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, কেন ওই ডিপার্টমেন্টারল স্টোরে এই ঘটনার কোনো ভিডিও ফুটেজ বা সাক্ষী নেই?

এই জীবনে ওই নারীর সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি। তিনি তার নতুন বইয়ের বিক্রি বাড়াতে চাইছেন এটা তার ওই অপচেষ্টার কথাই বলছে। তার বই তো কল্পকাহিনী বিভাগে বিক্রি হওয়া উচিত।

নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনে ক্যারলের দেওয়া একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে পেছন দিক থেকে ট্রাম্প এবং ওই সময়ে তার স্ত্রী ইভানাকে দেখা যাচ্ছে। ছবিতে ক্যারল তার সাবেক স্বামী জন জনসনের সঙ্গে ছিলেন। ছবিটি ১৯৮৭ সালে এনবিসির একটি পার্টিতে তোলা।

ট্রাম্পের অভিযোগ, বিরোধী ডেমক্রেটিক পার্টি ক্যারল বা নিউ ইয়র্ক ম্যাগাজিনকে দিয়ে তার বিরুদ্ধে এ কাজ করাচ্ছে। কারো কাছে এ বিষয়ে তথ্য থাকলে সামনে আসুন। এটা অসম্মানজনক এবং যারা এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ আনছে তাদের ভয়ঙ্করভাবে এর মাসুল দিতে হবে।

ক্যারল একজন নিবন্ধিত ডেমক্রেট। তবে তার এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় দাবি করে তিনি বলেন, যৌন নিপীড়ন রাজনৈতিক হতে পারে না। এর আগে আরো ১৬ জন নারী নানা সময়ে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছেন। তবে সেগুলোর মধ্যে ক্যারলের অভিযোগই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, তিনি সরাসরি ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।

১৯৮৯ সালে ট্রাম্পের সাবেক স্ত্রী ইভানা বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদনে ‘ট্রাম্প তাকে ধর্ষণ করেছে’ বলেছিলেন। যদিও পরে তিনি বলেন, তিনি আক্ষরিক অর্থে বা অপরাধ হিসেবে ধর্ষণ শব্দটি ব্যবহার করতে চাননি।

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *