May 4, 2024
আন্তর্জাতিকলাইফস্টাইললেটেস্ট

টাকার নোট থেকে সম্ভবত করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে – বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুশিয়ারি

আলি আবরার

গত সোমবার রাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একধরনের সতর্কতা প্রকাশ করে যে সম্ভবত টাকার লেনদেন থেকে কভিড-১৯ ভাইরাসটি ছরিয়ে পড়ছে।  এই জন্য ভাইরাসটির ছরিয়ে পরা বন্ধ করতে তারা পরামর্শ দিয়েছে যে, আর্থিক লেনদের ক্ষেত্রে মুদ্রার স্পর্শ ছাড়াই ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা উচিত যদি  সম্ভব হয় অথবা মুদ্রার সংস্পর্শে আসলেই যেন ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা হয়।

ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডও এ ব্যপারে বলেছে , টাকার নোট -পয়সা বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু বহন করে এবং এগুলো স্পর্শের পর পরই যেন হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলা হয়।

গত মাসে  চায়না ও কোরিয়ার সকল ব্যাংক ভাইরাসটি রোধের লক্ষ্যে তাদের সমস্ত ব্যাংকের নোট জীবাণু মুক্ত করা শুরু করে এবং ব্যবহারকৃত সকল নোট আইসোলেট করে ফেলে।

জীবাণুমুক্ত করার জন্য তারা আলট্রা ভাইওলেট লাইট এবং উচ্চ তাপমাত্রা দিয়ে তাদের কাছে জমা ব্যাংক নোট গুলোকে পুনরায় বণ্টনের আগে পরিষ্কার করে ১৪ দিন আসোলেট করে রাখে যা পরে প্রেস কনফারেন্স করে জানায়  চায়নার সেন্ট্রাল ব্যাংক।

ধারনা করা হচ্ছে কোন বস্তু পৃষ্ঠে কভিড-১৯ ভাইরাসটি থেকে থাকলে সাধারণ তাপমাত্রায় ৯ দিন পর্যন্ত এর সংক্রামণ হওয়ার বৈশিষ্ট্য অটুট থাকে যেটি একটি গবেষণা থেকে উঠে আসে।

সার্স এবং মার্সের জীবাণু উচ্চ তাপমাত্রা ও জীবাণুনাশক দ্বারা ধ্বংস করা যায় বলে এবং সার্স, মার্স ও কভিড-১৯ বৈশিষ্ট্যগত ভাবে এক হওয়ায় ধারণা করা হচ্ছে কভিড-১৯ এর জীবাণুর ক্ষেত্রেও উচ্চ তাপমাত্রা এবং জীবাণুনাশক কার্যকারী ।

বুধবার দুপুর পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী মৃতের সংখ্যা ৩২০১ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছে এখনো পর্যন্ত ৯২ হাজার ৮০১ জন। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ২৭০ জন। আর মারা গেছেন ২ হাজার ৯৮১ জন। তবে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০ হাজার ৬৯১ জন। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায় এবং সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইরানে। ইরানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৩৩৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৭ জন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার কারণে সাময়িকভাবে ইরানে প্রান ৫৪ হাজার বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গত মঙ্গলবার।

সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ভাইরাসটি এরইমধ্যে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে। এসব দেশ থেকে নতুন রোগীর তথ্য জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিদিনই যোগ হচ্ছে নতুন দেশের নাম।

 

সুত্র :দ্যা টেলিগ্রাফ ও ইয়াহু ফাইনান্স 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *