জামিন বাতিল, সাফাত ফের কারাগারে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাদেম উল কায়েস বুধবার আদেশ দেয়। এ মামলায় কারাগারে থাকা অপর আসামি নাঈম আশরাফের জামিন আবেদনও খারিজ করেছেন বিচারক।
এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি ফারজানা আহমেদ অরেঞ্জ জানান, আসামি সাফাত আহমেদ অসুস্থতা কারণ দেখিয়ে জামিন নিলেও অসুস্থতার প্রমাণ তিনি আদালতে দাখিল করেননি। এ কারণে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিন বাতিলের আবেদন করেছিল।
বুধবার সাফাত আহমেদের উপস্থিতিতে বিচারক তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পাশাপাশি নাঈম আশরাফের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। এদিন মামলার বাদীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। অবশিষ্ট জেরার জন্য ৬ মার্চ শুনানির পরবর্তী তারিখ রেখেছে আদালত।
জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মে মাসে এই মামলা দায়ের হলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দেশজুড়ে আলোচনা আর ক্ষোভের মধ্যে পুলিশ আপন জুয়েলার্সের অন্যতম মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার দুই বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ এবং সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
তদন্ত শেষে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি ওই বছর ৮ জুন ঢাকার হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বাদীপক্ষে মোট ৪৭ জনকে সাক্ষী করেন তিনি। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাফাত ও নাঈম ধর্ষণে সরাসরি অংশ নেন এবং বাকি তিনজন তাদের সহযোগিতা করেন।
২০১৭ সালের ১৩ জুলাই দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ সফিউল আজম আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলায় বিচার চলার মধ্যেই গতবছর ২৯ নভেম্বর সাফাত আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। তার আগে বিভিন্ন সময় হাই কোর্ট থেকে জামিন পান সাদমান, রহমত ও বিলাল। সাফাতের জামিন হওয়ার পর বিভিন্ন নারী অধিকার ও মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়। তিন মাসের মাথায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আবার সাফাতকে কারাগারে পাঠানো হল।