জামিনের পর আবার গ্রেপ্তার কায়সার হামিদ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
এমএলএম কোম্পানি খুলে প্রতারণা মামলায় সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদকে আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত। ফলে দুই মামলায় জামিন পেলেও তার মুক্তি আটকে গেছে। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই আদেশ দেন। রবিবার তাকে দুটি মামলায় জামিন দিয়েছিল আদালত। শুনানিকালে এ আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানোর মামলাটি রাজধানীর বনানী থানার।
এর আগে একই থানার অপর দুই মামলায় গত ২১ জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে গত ২৭ জানুয়ারি আদালত ওই দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু সোমবার গ্রেপ্তার দেখানো মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন থাকায় তিনি কারামুক্ত হতে পারেননি।
গত ২০ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে কায়সার হামিদকে গ্রেপ্তার করে সিআইডির একটি দল। জামিন পাওয়া মামলার দুইটিই বনানী থানায় ২০১৩ সালে করা। মামলাগুলোর একটির বাদী রাজধানীর বাড্ডার জনৈক জালাল উদ্দিন এবং অপরটির একই এলাকার আবু বক্কর (সালাম)।
২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা সিএমএম আদালতে তারা মামলাগুলোর দায়ের করেন। আদালত মামলাগুলোকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল মামলাগুলো থাকায় এজাহারভুক্ত হয়।
মামলাগুলোয় কায়সার হামিদ প্রতিষ্ঠানটির সেক্রেটারি হিসেবে ২ নম্বর আসামি। তিনি ছাড়াও মামলাটিতে আরও ৯ জন আসামি রয়েছেন। অপর আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সনজিত কুমার দাস, ট্রেজাহার তরিক উল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান এসএম সামসুদোহা তৌফিক, যুগ্ম সম্পাদক তাজিম আনোয়ার, এক্সিকিউটিভ সদস্য মনির হোসেন, আতাউর রহমান, মোশারফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও মো. বাদল। আসামিদের মধ্যে মনির হোসেন জামিনে রয়েছেন এবং অপর আসামিরা পলাতক।
মামলায় বাদী জালালের অভিযোগ এক লাখ টাকায় বছরে সম পরিমান লভ্যাংশ দেয়ার দেয়ার প্রতিশ্র“তিতে তিনি ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। কিন্তু আসামিরা আসল ও লভ্যাংশ কোন টাকাই দেননি। একই ভাবে আবু বক্করের অভিযোগ তিনি একই লভ্যাংশে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেও আসামিরা আসল ও লভ্যাংশ কোন টাকাই দেননি।
কায়সার হামিদকে আদালতে পাঠানো পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, একই ধরনের অভিযোগে বনানী থানার ২০১৩ সালের আরও দুটি মামলার একটিতে তিনি সাজাপ্রাপ্ত এবং অপর মামলায় অভিযোগপত্র ভুক্ত আসামি। এছাড়া রাজধানীর চকবাজার থানার একই সালের একটি মামলা এবং ফরিদপুর কোতয়ালী থানার একটি মামলা রয়েছে।