May 4, 2024
জাতীয়

জলবায়ু খাতে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি টিআইবির

 

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক

আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড (বিসিসিটিএফ) তহবিলের জন্য কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দ অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কৌশলগত দিকনির্দেশনারও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল শনিবার টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের বহুমুখী যুগোপযোগী উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হয়েছে। বিসিসিটিএফ গঠন ও ২০০৯ -২০১০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট থেকে বাংলাদেশ সরকার এ তহবিলে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে, যা প্যারিস চুক্তি সই করা উন্নত দেশগুলো থেকে বাংলাদেশের তহবিল পাওয়ার যৌক্তিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিসিসিটিএফ গঠনের পর এ তহবিলে প্রথম তিন বছরে প্রতিবছর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও, জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট বরাদ্দ ব্র“দ্ধি পায়নি, বরং ক্রমান্বয়ে কমেছে। অন্যদিকে, সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ উন্নত দেশগুলোর মাধ্যমে গঠিত আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতাও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক নয়। ঝুঁকি বাড়ার প্রেক্ষাপটে চাহিদার বিপরীতে অর্থের যোগান কমে যাওয়ার এ চিত্র উদ্বেগজনক। তাই, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবিলায় বিসিসিটিএফ’র তহবিলে ঘাটতি পূরণে আসন্ন ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দ অর্থের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এটা না হলে, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি ও ঝুঁকি যেমন ব্র“দ্ধি পাবে, তেমনি সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‘তাই, সরকার আসন্ন জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্রমবর্ধমান ঝুঁকিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে কমপক্ষে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করবে, পাশাপাশি জনগণের পক্ষে বরাদ্দ অর্থ স্বচ্ছ ও জবাবদিহি প্রক্রিয়ায় ব্যবহার নিশ্চিতে কৌশলগত দিকনির্দেশনা থাকবে বলে আশা করছে টিআইবি।’

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *