May 3, 2024
জাতীয়

জরিমানার চেয়ে বুঝিয়ে ঘরে পাঠানোয় আগ্রহী ভ্রাম্যমাণ আদালত

করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে সারাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। লকডাউনের আদলে দেওয়া ২১ দফা বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীতে নেমেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বেলা ১২টায় মিরপুরের দারুস সালাম রোডে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র‌্যাব-৪ এর একটি টিমকে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে দেখা যায়।

ঝুম বৃষ্টির মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়। গাড়ি, কাভার্ড ভ্যান ও রিকশা থামিয়ে যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাস করেন র‌্যাবের সদস্যরা। এসময় অনেকেই যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি। এছাড়া দুই আরোহী ওঠা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলকে আটক করা হয়। নিয়মভঙ্গকরীদের জরিমানা করার চেয়ে বুঝিয়ে ঘরে পাঠিয়ে দেয়ার প্রবণতাই বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

ঘরের বাইরে বের হওয়া যাত্রীরা অফিস, চিকিৎসার অজুহাতে বের হয়েছেন বলে জানান। তবে র‌্যাবের সদস্যরা কাগজ ও উপযুক্ত প্রমাণ চাইলে অনেকেই তা দেখাতে পারেননি।

এসময় অযৌক্তিক কারণে বের হওয়ায় একটি গাড়িকে আধাঘণ্টা সময়দণ্ড ও মাস্ক না পরায় এক ব্যক্তিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

র‌্যাব-৪ এর প্রধান মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেন, আজকে থেকে সাত দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো র‌্যাব ভোর থেকে লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে আছে। নিজের নিরাপত্তার জন্য লকডাউনে মানুষকে ঘরে থাকতে হবে। এটা মানুষকে বুঝিয়েছি।

তিনি বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজকে সচেতনতা বেশি লক্ষ্য করছি। যারা বের হয়েছেন প্রত্যেকেই কোনো না কোনো অজুহাত দেখাচ্ছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে এই মুহূর্তে ঘরে থাকার বিকল্প নেই। যাদের মাস্ক ছিল না তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেছি। যারা অন্যায়ভাবে রাস্তায় বের হয়েছে তাদের জরিমানাও করা হয়েছে।

র‌্যাব-৪ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান বলেন, সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ মানা হচ্ছে কিনা, তা দেখতে আমাদের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যেসব গাড়ি বের হচ্ছে তাদের উপযুক্ত কারণ যাচাই করা হচ্ছে। যৌক্তক কারণ জানালে তাদের চলাচলে অনুমতি দেয়া হচ্ছে। লকডাউনের নিয়মনীতি না মানায় কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *