November 26, 2024
বিনোদন জগৎ

জনি ডেপের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে চান না অ্যাম্বার

প্রাক্তন স্বামী, অভিনেতা জনি ডেপের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলার নিষ্পত্তিতে পৌঁছেছেন হলিউড তারকা অ্যাম্বার হার্ড। বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন নিজেই।

ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মামলার নিষ্পত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি নোট শেয়ার করেছেন অ্যাম্বার। সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি এটি আর চালিয়ে নিতে চান না।
এর আগে ভার্জিনিয়া আদালতের বিচারক জুড়ি মামলার রায়ে জনি ডেপকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার রায়ে অটল থাকলে মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তে আসেন অ্যাম্বার।

ইন্সটাগ্রাম নোটে অ্যাম্বার লিখেছেন, ‘ভার্জিনিয়ায় আমার প্রাক্তন স্বামী বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য আমি অনেক চিন্তা-ভাবনা করার পরে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মামলাটি থেকে রেহাই চাই। তবে এটা সত্য যে আমি কখনই এটি বেছে নেইনি। আমি সত্যকে রক্ষা করতেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এটা করতে গিয়ে আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে অপমানজনক আচরণের সম্মুখীন হয়েছি, সেটি আধুনিক যুগে নারীদের প্রতি নির্মমতার নতুন সংস্করণ। অবশেষে এখন আমার এমন কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ আছে যা আমি ছয় বছর আগে ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিছু শর্তে আমি সম্মত হতে পারি। ’

আমেরিকার বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা হারানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন, ইংল্যান্ডের আদালতে অনেক বেশি সম্মানের সঙ্গে মামলা লড়া যায়। সেখানকার বিচারপদ্ধতিও সঙ্গত, সত্যনিষ্ঠ। তিনি বলেন, ‘যখন আমি যুক্তরাজ্যের একজন বিচারকের সামনে দাঁড়ালাম, তখন আমি একটি শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং ন্যায্য বিচার ব্যবস্থা পেয়েছিলাম। ’

জনি এবং অ্যাম্বার ২০১৫ সালে তাদের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে একটি গোপন অনুষ্ঠানে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৬ সালের মে মাসে অ্যাম্বার জনির কাছ থেকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ পান। তিনি বলেছিলেন যে জনি তাদের সম্পর্কের সময় তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। জনি এটি প্রায়ই করত, যখন নেশায় থাকত।

২০১৭ সালে এই দুই তারকার বিচ্ছেদ হয়। তার পরের বছরই জনি ডেপের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন হার্ড। এরপরই সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *