ছোট লক্ষ্যে কুমিল্লার সহজ জয়
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রথম দেখায় জয় না পেলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরের দ্বিতীয় দেখায় চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে জয় পেলো কুমিলা ভিক্টোরিয়ান্স। মুশফিকুর রহিমের দলের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে ইমরুল কায়েসের দল।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট হাতে নেমে অল্প রানেই কুমিলা হারায় প্রথম উইকেট। দলীয় মাত্র ২৬ রানেই খালেদ আহমেদের বলে ফিরে যান ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ১৩ বলে ৮ রান করে ফেরেন তিনি।
ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে মিলে দলকে অনেকটাই জয়ের কাছে নিয়ে যান শামসুর রহমান। তবে আবু জায়েদ রাহির বলে দলীয় ৯১ রানে ফেরেন তিনি। আউট হয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।
তবে অপর প্রান্তে চলতি বিপিএলের দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম। কিন্তু অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মাত্র ৮ বলে ৮ রান করে রাহির বলেই ফেরেন তিনি। তামিমের সঙ্গে মিলে শেষ পর্যন্ত কুমিলাকে জিতিয়ে ফেরেন থিসারা পেরেরা। ওপেনার তামিম অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। আর পেরেরা ৯ রানে।
এর আগে, শহীদ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করা চিটাগং ভাইকিংস ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান সংগ্রহ করে। শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ঝড়ো ব্যাট চালিয়ে স্কোর বড় করেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মঙ্গলবারের (২৯ জানুয়ারি) ম্যাচে মুখোমুখি হয় চিটাগং ভাইকিংস ও কুমিলা ভিক্টোরিয়ান্স। বৃষ্টির কারণে খানিক দেরিতে টস অনুষ্ঠিত হয়। খেলাও শুরু হয় দশ মিনিট পরে। তবে হালকা বৃষ্টির কারণে এক ওভার শেষে খেলা বন্ধ হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে ফের শুরু হলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য ১৯ ওভারে নেমে আসে।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এ ম্যাচে যে দলই জিতবে তারাই থাকবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। এই পরিসংখ্যান সামনে নিয়েই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আসরের ৩৫তম ম্যাচটি শুরু হয় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে।
কুমিলা বোলারদের তোপে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে চিটাগং। দলীয় তিন রানে দুই উইকেট হারানোর পর ১৭ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার মোহাম্মদ শাহাজাদ। ধীর ব্যাটিং করে ৩৫ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৩ করে রান আউট হন।
মাঝের সময়টাতে এক কথায় আসা-যাওয়ার মিছিলেই ব্যস্ত ছিল স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। সর্বোচ্চ ২৫ বলে তিনটি চার ও সমান ছক্কায় ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তার কারণে মাঝারিমানের সংগ্রহ পায় চিটাগং। আর ১৩ রান করেন নাজিবুলাহ জাদরান।
কুমিলার বোলারদের মধ্য অভিজ্ঞ স্পিনার আফ্রিদি ৪ ওভারে মাত্র ১০ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট লাভ করেন। সাইফ ও ওহাব রিয়াজ সমান ২৩ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট পান। দু’দলের প্রথম দেখায় জয় পায় মুশফিকুর রহিমের চিটাগং। এবার জয় পেলো ইমরুল কায়েসের কুমিলা।