January 19, 2025
আঞ্চলিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

ছোট ভাইকে হত্যাচেষ্টা ও মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রতিশোধে তিনজনকে গুলি করে হত্যা

খুলনায় ট্রিপল মার্ডার মামলায় তিন আসামীর স্বীকারোক্তি

দ. প্রতিবেদক
ছোট ভাই জাফরিনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, মসজিদ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দ্বন্দ্ব ও নিরীহ মুজিবরকে অবৈধ অস্ত্র দিয়ে পুলিয়ে ধরিয়ে দেয়া ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীর হাত থেকে রক্ষা পেতে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করে মশিয়ালীর তিন সহোদর শেখ জাকারিয়া, শেখ মিল্টন ও শেখ জাফরিন। খুলনা মহানগরীর মশিয়ালীতে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে (১৬৪ ধারায়) এমন তথ্য দিয়েছে তিনভাই।
মঙ্গলবার খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুস সামাদের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন চার ভাইয়ের মধ্যে সেঝো শেখ মিল্টন। এরআগে সোমবার মেঝোভাই শেখ জাকারিয়া ও অপর আসামী রেজওয়ান শেখ রাজু ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়। জাকারিয়া ও রাজু মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলামের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মোঃ এনামুল হক এসমব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ‘ঢাকা থেকে এই তিনজনকে গ্রেফতারের পর দুই দফা ৮ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার ও মঙ্গলবার ট্রিপল হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এ নিয়ে মামলায় গ্রেফতারকৃত ১৩ জনের মধ্যে ৯ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।’
সূত্রমতে, গত ৯ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলার মূল আসামী শেখ জাকারিয়া, তার ভাই শেখ মিল্টন ও আরেক আসামী রেজওয়ান শেখ রাজুকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘদিন তারা পলাতক ছিল।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই রাতে খুলনা মহানগরীর ইস্টার্নগেট এলাকায় শেখ জাকারিয়া বাহিনীর গুলিতে নিহত হন আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের মশিয়ালী গ্রামের মৃত বারিক শেখের ছেলে মোঃ নজরুল ইসলাম (৬০) ও একই গ্রামের মোঃ ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০)। এসময়ে গুলিবিদ্ধ হন মোঃ সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম পরদিন সকালে মারা যান। অপরদিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে মারা যায় জাকারিয়ার চাচাতো ভাই জিহাদ শেখ। এছাড়া হত্যাকারী সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করে।
পরে নিহত মোঃ সাইফুল ইসলামের পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খানজাহান আলী থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ে (যার নং-১২, ১৮-৭-২০২০ ইং) করেন। এ ঘটনায় উল্লেখিত ২২ জনের মধ্যে প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার এবং হত্যাকাণ্ডের ১৮ দিন পর মশিয়ালী থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দুটি তাজা গুলি ও তিন রাউন্ড ফায়ার্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ এম জে এফ

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *