চৌদ্দগ্রামে মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে মানব পাচারকারী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় নারীসহ তিনজন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযানে মানব পাচারকারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান ভুয়া পাসপোর্ট, ভুয়া জন্মসনদপত্র, পাসপোর্ট তৈরির ভুয়া কাগজপত্র এবং সার্টিফিকেট তৈরির কাজে ব্যবহৃত তিনটি কম্পিউটার, দুইটি প্রিন্টার, একটি স্ক্যানার, সাতটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৬০ হাজার ৫৪০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ নগরীর শাকতলায় র্যাবের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং করে অভিযানের বিষয়টি জানানো হয়। এর আগে রোববার জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধরকড়া বাজার ও চিওড়া এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক হওয়া মানব পাচারকারীরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাপড়চতলী গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে আব্দুর রহিম ওরফে রুবেল (২৫), ফজলুল হকের ছেলে নুরুল হক (২৯) ও উপজেলার ডিমাতলী গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে কাজী ফয়সাল আহাম্মেদ ওরফে রনি (৩২)।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন, বালুখালীর পানবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণী, ট্যাংখালীর রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৯ এর মোহাম্মদ আমির হোসেনের ছেলে জাহেদ হোসেন (২৫) এবং উখিয়ার কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্প সি/৩ এর হাকিম শরিফের ছেলে রফিক (৩৭) ।
কুমিল্লা র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানান, আটক হওয়া আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশে পাঠানোর উদ্দেশে কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে এসে বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরি করে মালেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাচার করে আসছিল। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গা মেয়েটির ভুয়া জন্মসনদ উদ্ধার করা হয়, যা এই পাচারকারী চক্র তৈরি করে তা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করে বিদেশে পাচার করা চেষ্টা করছিল।