May 2, 2024
আন্তর্জাতিক

চীনের ধুলায় করোনা আসতে পারে, সতর্ক থাকতে বলল উ. কোরিয়া

চীন থেকে ‘এশিয়ান ডাস্ট বা ইয়েলো ডাস্ট’ করোনা ভাইরাস নিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছে উত্তর কোরিয়া। এ কারণে এরইমধ্যে দেশটি নিজেদের নাগরিকদের সতর্ক করে ঘরে থাকতে আহ্বান জানিয়েছে।

এই সতর্কতার পরে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তাগুলো বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) কার্যত খালি ছিল বলে জানা গেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ‘গোপনীয়তা’ রক্ষা করে চলা উত্তর কোরিয়া নিজেদের করোনা ভাইরাস মুক্ত বলে দাবি করছে। কিন্তু গত জানুয়ারি থেকেই দেশটি উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে কঠোর সীমান্ত বন্ধ এবং চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে।

চীনের সিজনাল ধুলা এবং করোনা ভাইরাসের মধ্যে কোনো লিঙ্ক আছে কি-না জানা নেই কারও। এরপরও উত্তর কোরিয়ার বাড়তি সতর্কতায় সংশ্লিষ্টদের অনেকেই ইতিবাচক বলে জানা গেছে। যদিও এই দুইয়ের মধ্যে কোনো লিঙ্কের পরামর্শ দেওয়ার জন্য এরাই একমাত্র দেশ নয়।

তবে বিবিসির একটি টিম বের করেছে, তুর্কমেনিস্তানেও ভাইরাস এবং ক্ষতিকর ধুলার কারণে নাগরিকরা মাস্ক পরছেন। তারা শুধু একটি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলা করার চেষ্টা অস্বীকার করছেন।

প্রতিবেদন বলছে, ক্ষতিকারক ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্যও উত্তর কোরিয়ায় এ সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত কোরিয়ান সেন্ট্রাল টেলিভিশন (কেসিটিভি) বুধবার (২১ অক্টোবর) আবহাওয়া সংক্রান্ত বিশেষ সম্প্রচারে বলেছে, হলুদ ধুলার প্রবাহ বাড়তে পারে। পরের দিন বৃহস্পতিবার এই প্রবাহ বেশি বাড়তে পারে। এজন্য দেশব্যাপী বাইরে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতেও ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

হলুদ ধুলা সাধারণত মঙ্গোলিয়ান এবং চীনা মরুভূমির বালিকে বোঝায়। যা বছরের একটা নির্দিষ্ট সময়ে উত্তর এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে প্রবাহিত হয়। এটি বিষাক্ত ধুলার সঙ্গে মিশে গেছে। যা বছরের পর বছর ধরে উভয় দেশেই স্বাস্থ্য উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম যুক্তি দেখিয়েছে, করোনা ভাইরাসকে বায়ুবাহিত সংক্রমণের সঙ্গে সংযুক্ত করলে এবং গবেষণা মেলালে হলুদ ধলার প্রবাহকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলও জানিয়েছিল, করোনা ভাইরাস ‘কয়েক ঘণ্টা’ বাতাসে থাকতে পারে। তবে কাউকে এভাবে সংক্রমিত করা অত্যন্ত বিরল বলেও উল্লেখ করেছেন অনেক গবেষক।

এদিকে, উত্তর কোরিয়ায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত কোনো রোগী এখন নেই দাবি করা সত্ত্বেও গভীর উদ্বেগে রয়েছে দেশটি। উচ্চ সতর্কতা এবং কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিত করার জন্য দেশটির নেতা কিম জং উন বার বার উচ্চস্তরের বৈঠক করছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *