May 18, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

চলে গেলেন দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম

চলে গেলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম (ইন্না লিলাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। সোমবার (১৭ আগস্ট) দিনগত রাত ৩টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

আলোকচিত্রী জয়া করিম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সাইদা খানমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

সাইদা খানমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

সাইদা খানম মাত্র ১৩-১৪ বছর বয়সেই ছবি তোলা শুরু করেন। তার জন্ম ১৯৩৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর। পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙায় হলেও সাইদা খানমের জন্ম পাবনায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৬৮ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন। পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালে পুনরায় লাইব্রেরি সায়েন্সে স্নাতকোত্তর করেন। তার বাবার নাম আবদুস সামাদ খান এবং মায়ের নাম নাছিমা খাতুন।

সাইদা খানম আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসেবে ১৯৫৬ সাল থেকে ‘বেগম’ পত্রিকায় কাজ করেন। ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরিতে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কাজ করেছেন। প্রেস ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। দুটো জাপানি পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার তোলা আলোকচিত্র মুদ্রিত হয়েছে। তার ছবি ছাপা হয় ‘অবজারভার’, ‘মর্নিং নিউজ’, ‘ইত্তেফাক’, ‘সংবাদ’সহ বিভিন্ন পত্রিকায়।

আলোকচিত্রী হিসেবে দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেন সাইদা খানম। অস্কারজয়ী সত্যজিৎ রায়ের ছবিও তোলেন সাইদা খানম। সত্যজিতের তিনটি ছবিতে আলোকচিত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৫৬ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে অংশ নেন সাইদা খানম। ওই বছরই জার্মানিতে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড কোলন পুরস্কার পান তিনি। ভারত, জাপান, ফ্রান্স, সুইডেন, পাকিস্তান, সাইপ্রাস ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে তার ছবির প্রদর্শনী হয়। ১৯৬২ সালে ‘চিত্রালী’ পত্রিকার হয়ে একটি অ্যাসাইনমেন্টে গিয়ে বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও অস্কারজয়ী সত্যজিৎ রায়ের ছবি তুলে সমাদৃত হন সাইদা খানম।

কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক, ইউনেসকো অ্যাওয়ার্ড, অনন্যা শীর্ষ দশ পুরস্কার, বেগম পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি পুরস্কার, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সম্মানসূচক ফেলোসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *