November 27, 2024
বিনোদন জগৎ

চলচ্চিত্র শিল্পীদের সহায়তায় হচ্ছে ট্রাস্ট, আইনের খসড়া অনুমোদন

পেশাগত কাজ করতে অক্ষম ও অস্বচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীদের সহায়তায় ট্রাস্ট গঠন করছে সরকার। এজন্য ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের ২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণ সাধনের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপনের জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক তথ্য মন্ত্রণালয় সব ফার্মালিটি শেষ করে এই আইনের খসড়া উপস্থাপন করেছে।’

এই ট্রাস্ট গঠনের মূল উদ্দেশ্য চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণ সাধন করা জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইন করার উদ্দেশ্য পেশাগত কাজ করতে অক্ষম, অসমর্থ ও অস্বচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এছাড়া অস্বচ্ছল ও অসুস্থ চলচ্চিত্র শিল্পীর চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা, কোনো চলচ্চিত্র শিল্পীর মৃত্যু হলে তার পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তার ব্যবস্থা করাও এর উদ্দেশ্য। ট্রাস্ট অন্য কোনো কাজ বাস্তবায়ন করতে পারবে বলেও আইনে বলা হয়েছে।’

‘এটার জন্য একটা বোর্ড থাকবে, বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন তথ্যমন্ত্রী। আর ১৩ জনের বড় একটা টিম আছে, তারা ট্রাস্টের সবকিছু দেখাশোনা করবে। ট্রাস্টের একজন এমডি থাকবেন, তিনি হবেন নির্বাহী প্রধান।’

তিনি বলেন, ‘তারা তাদের নিজস্ব ফান্ড ও সরকারের দেয়া ফান্ড- এগুলো নিয়ে ট্রাস্ট পরিচালনা করবেন। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোন বা গ্র্যান্টও গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিতে হবে, যাতে এমন কোনো লোন গ্রহণ না করে পরবর্তী সময়ে এটা রাষ্ট্রের উপর চেপে বসে।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তারা তাদের কনফোর্ট অনুযায়ী আয়বর্ধক বিভিন্ন কার্যক্রমও গ্রহণ করতে পারবে এবং এখান থেকে যে টাকাটা তাদের মুনাফা থাকবে সেটা দিয়ে উপরের পাঁচটি ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র শিল্পীদের সহায়তা করতে পরবে।’

চলচ্চিত্র শিল্পী যদি মারা যান, তাদের উপর নির্ভরশীলরাও যাতে সহায়তা পায় সেই ব্যবস্থাও আইনে রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *